জ্ঞানজগতে সবচেয়ে করুণার পাত্র হচ্ছেন যারা বিজনেস স্টাডিজ আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ান। যে বিষয় নিয়ে তারা শ্রেণীকক্ষে পাণ্ডিত্য দেখান, সেই বিষয়গুলো নিয়ে বাস্তব কর্মক্ষেত্রে নামলে তারা সেটার কিছুই পারেন না। ব্যবসা, রাষ্ট্র পরিচালনা বা রাজনীতি, তিনটিতেই শুন্য পান বাঘা বাঘা পিএইচডি প্রফেসরেরা। সেই জন্য এই ডিসিপ্লিনের বুদ্ধিমান ও লাজ লজ্জা সম্পন্ন যারা আছেন তাঁরা নিজের জ্ঞান নিয়ে বাস্তবিকতায় খুব বেশী জড়ান না। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বলেছিলেন ব্যবসা জিনিষটা আসলে অবচেতন মনের কারবার। তিনি বলেছিলেন তিনি চিন্তা করে কোন সিদ্ধান্ত নেন না। অবচেতন মনই তাকে একদিকে ঠেলতে থাকে, সেই থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন। যা প্রায়ই সঠিক সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যবসার মত রাজনীতিও অবচেতন মনের কারবার। কিন্তু কিছু নির্লজ্জ বই মুখস্ত করা নির্বোধ প্রফেসর আছে যারা এক দেশে বাস করে ভিন্ন দেশের রাজনীতিতে নাক গলান। শুধু নাক গলান না, বিদেশীদের দ্বারা ঘটানো একটি ক্যু এর মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে আরো বিপদে ফেলে একটি গৃহযুদ্ধ লাগানোর জন্য সংবিধান নতুন করে লেখার এজেন্ডা নিয়ে দেশে উড়ে আসেন। এরা আসলে হচ্ছে আমেরিকার ফরেন অফিসের পলিটিক্যাল হিটম্যান। ভিন্ন দেশকে অস্থিতিশীল করাই এদের মিশন। এদেরই দেশীয় দালালেরা এদেশে তাদের স্থান করে দেয় এই লোভে যে আমেরিকার গোলাম হলে দেশ সিঙ্গাপুর বা জাপানের মত হবে। তারা চোখে দেখে না যে যেটা দক্ষিনপূর্ব এশিয়ায় হয় সেটা দক্ষিন এশিয়ায় বা মুসলিম দেশে হয় না, আমেরিকার গোলাম হলে দেশ এই সব দেশ সিঙ্গাপুর বা জাপানের মত হয় না, পাকিস্তানের মত হয় বা তার পরিণতি ইরাকের বা মিয়ানমারের মত হয়।
কিন্তু মানুষকে ধোঁকা দিয়ে রেজিম চেঞ্জ করলেই কি একটি দেশ আমেরিকার গোলাম হয়ে যেতে পারে? না পারে না। দুটো পরিবর্তন করতে হয়। এক, দেশের মানুষের অবচেতন মনে দেশ নিয়ে যে নির্মাণ বা কনস্ট্রাক্ট রয়েছে তাকে নষ্ট করতে হয়। এর ভৌত প্রতিরূপ হচ্ছে জাতির পিতার আর্কিটাইপ, তাকে হেয় করা বা ধ্বংস করা। দুই হচ্ছে দেশের আইনগত ভিত্তিপ্রস্তর, সংবিধানকে নতুন করে লেখা। এই দুটো না করতে পারলে রেজিম চেঞ্জ করেও দেশকে আমেরিকার স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাকে বলা হয় দেশ বিক্রি করা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও পাকিস্তান মেনে নেয়নি যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে আত্মসমর্পণ দলিলে পাকিস্তান স্বাক্ষর করেছে সেটা ভারতের কাছে, বাংলাদেশের কাছে নয়। সেই কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই তারা মনে করতে থাকে মুজিবকে সরিয়ে দিতে পারলেই আবার পূর্ব পাকিস্তান ফিরে আসবে। এই কারণে পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পাকিস্তান গড়িমসি করতে থাকে।
পাকিস্তানের দুই নিকট বন্ধু, ভারতকে ঠেকাবার জন্য চীন এবং ইসলামকে রক্ষা করার জন্য সৌদি আরবও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় না। পাকিস্তান ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় শেখ মুজিবের আন্তর্জাতিক ডিপ্লোম্যাসিতে সফলতার কারণে। ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি এর দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঐ অনুষ্ঠানের শর্ত হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নিকট থেকে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নেন। তার আগে তিনি দেশের বামপন্থীদের নাখুশ করেই পশ্চিমা বিশ্ব এবং আরব দেশগুলোর মন জয় করে নেন।
অথচ বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া স্বাধীন বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৪ এপ্রিল ১৯৭২। পাকিস্তান শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুই ছিল না, ছিল সামরিক জোটভুক্ত দেশ। কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এত দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল? কারণ শেখ মুজিব জানতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেদনাটা কোথায় এবং মলমটা কোথায় লাগাতে হবে। তিনি দ্রুতই মার্কিন নিক্সন কিসিঞ্জার সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ কখনও কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হবে না। তিনি বলেছিলেন তিনি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যেই সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক আদর্শ প্রয়োগ করে দরিদ্র মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে চান।
এর ফলে দেশের ভেতরে ও বাইরে যারা মুক্তিযুদ্ধকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ভেবেছিল এবং স্বাধীনতার বাংলাদেশকে কমিউনিস্ট বিপ্লব চেয়েছিল তারা বঙ্গবন্ধুর শত্রু হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এত দ্রুত স্বীকৃতি দেবার মূল কারণ ছিল তারা জানত বাংলাদেশ কমিউনিস্ট দেশ হবে না, যেটা সেই সময়ে তাদের এই অঞ্চলের প্রধান ভূরাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল। দ্বিতীয় বিষয় ছিল তারা দেখেছে এই ছোট্ট ‘তলা বিহিন ঝুড়িটাকে’ সাহায্য সহযোগীতা করলে একসময় তারা কাজে লাগবে। সেই কারণেই ঐ সময় তারা কট্টোর বাংলাদেশ বিরোধী ছিল না এবং শেখ মুজিবকে হত্যার বিষয়েও তাদের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি।
কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ বয়ান পাচ্ছি এই বলে যে ২০২৪ এর বাংলাদেশে যে আরব বিপ্লব, তার মূল নায়ক হচ্ছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। যিনি এমন সময় বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হয়ে আসেন যখন চীন মিয়ানমার করিডোর ও কানেক্টিভিটি নয়ে আমেরিকা সক্রিয়, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং ভারত বাংলাদেশ কানেক্টিভিটি নিয়ে আমেরিকার সিআইএ এবং আইএসআই এর উদ্বেগ চুড়ান্ত। নতুন সরকারের নানা কাজ কর্মে প্রমাণ হচ্ছে যে এই সরকার পরিবর্তনে পাকিস্তানের প্রভাব প্রকট। সিআইএ-আইএসআই যে এর পেছনে সেটা সরকারের নানা ক্রিয়াকলাপে পরিষ্কার।
দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগনোর কারিগর বর্তমানের আমেরিকান রেজিম এবং তাদের ফরেন অফিসের পলিটিক্যাল হিটম্যান ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপকেরা ছুটে আসছেন বাংলাদেশে সংবিধান পরিবর্তন করতে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি ঠিক কিভাবে পরিচালিত হয় সেটা কি তারা সঠিক ভাবে জানেন তারা? আমেরিকা নিজেই একটি মাইগ্রান্টদের দখল করা রাষ্ট্র যার বয়স মাত্র ২৫০ বছর যেখানে আমেরিকান বলে কোন জাতি নেই এবং আমেরিকান বলে কোন সংস্কৃতিও নেই। একটি বৃহৎ জাতি-সংস্কৃতি কিভাবে শাসিত হবে সেটা তারা কিভাবে ঠিক করে দেবে? যতগুলো দেশে তারা এটা করেছে সবগুলোতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে অথবা তারা আমেরিকার দাস সমাজে পরিণত হয়েছে।
প্রায় ৭০০ বছর আগে লেখা ইবনে খালদুন "মুকাদ্দিমা" গ্রন্থটির মাধ্যমে যে কোন রাজ্যে গোত্রগত অনুভূতি বা আসাবিয়াহর ধারণার মাধ্যমে সমাজের কাঠামো এবং নেতৃত্বের ধরণ সম্পর্কে আমাদের একটি গভীরতর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছেন। এখানে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন কেন কিছু গোষ্ঠী নেতৃত্বের জন্য স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে আসে, যখন অন্যরা পিছিয়ে থাকে এবং কারা ব্যর্থ হয়। বিশ্বাস এবং আস্থা রাষ্ট্র শাসনে কেন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং তার জন্য পরিবার ও রক্ত সম্পর্ক কেন শাসনে গুরুত্বপূর্ণ।
গোত্রগত অনুভূতি (আসাবিয়াহ) এবং নেতৃত্ব:
ইবনে খালদুনের মূল তত্ত্ব হলো "আসাবিয়াহ" বা গোত্রগত অনুভূতি। এটি একটি সমাজতাত্ত্বিক ধারণা যা বোঝায় যে, নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গোষ্ঠীর মধ্যে শক্তিশালী সামাজিক সংহতি এবং অভিন্নতার বোধ প্রয়োজন। ইবনে খালদুন ব্যাখ্যা করেছেন যে আসাবিয়াহ হলো এমন একটি মানসিকতা বা সামাজিক সম্পর্কের জাল, যা সদস্যদের একত্রিত রাখে এবং তাদেরকে সামগ্রিক স্বার্থে কাজ করতে উৎসাহিত করে। এটি একটি রক্তের সম্পর্ক বা বংশপরম্পরাগত বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়। এই আসাবিয়াহর কারণে একটি বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে একটি গভীর সংহতি এবং শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তোলে।
অভিবাসী এবং বুদ্ধিজীবীদের নেতৃত্বের অক্ষমতা:
ইবনে খালদুন মাইগ্রান্টস বা অভিবাসী এবং বুদ্ধিজীবীদের নেতৃত্ব গ্রহণে অক্ষমতা সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যদিও এই গোষ্ঠীগুলি শিক্ষিত এবং জ্ঞানী হতে পারে, তাদের মধ্যে আসাবিয়াহ বা গোত্রগত সংহতির অভাব থাকে, যা নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।
বুদ্ধিজীবীদের সীমাবদ্ধতা: বুদ্ধিজীবীরা তাদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার জন্য সম্মানিত হতে পারে, কিন্তু তারা সাধারণত এমন একটি গোষ্ঠীর সাথে সংযুক্ত নয় যা তাদেরকে নেতৃত্ব প্রদানে সমর্থন করতে পারে। তাদের মধ্যে গোত্রগত সংহতি, যেমন বিশ্বাস এবং ঐক্যের অভাব থাকে, যা নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্ররবাসীদের সামাজিক অবস্থান: মাইগ্রান্টস বা অভিবাসী গোষ্ঠীগুলি সাধারণত নেতৃত্ব প্রদানে অক্ষম হয় কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা সমাজ সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত নয়। তাদের মধ্যে স্থানীয় আসাবিয়াহ গঠিত হয় না, যা তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে।
নেতৃত্বহীনতা এবং এর সামাজিক প্রভাব:
ইবনে খালদুনের ধারণা অনুযায়ী, আসাবিয়াহ না থাকলে নেতৃত্বহীনতা বা দুর্বল নেতৃত্ব তৈরি হয়। নেতৃত্বহীনতা একটি সমাজকে দুর্বল এবং বিভক্ত করে তোলে। যখন একটি সমাজের মধ্যে আসাবিয়াহর অভাব থাকে, তখন সেই সমাজে নেতৃত্বহীনতা এবং সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয়। নেতৃত্বহীনতা একটি সমাজকে একত্রিত হতে বাধা দেয় এবং তাদেরকে বিভক্ত করে ফেলে। এই বিভাজন এবং দুর্বলতা সমাজের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
সমাজে আসাবিয়াহ বা গোত্রগত অনুভূতির অভাব থাকলে তখন ধর্ম, সামরিকতা, ভয় বা ঘৃণার মাধ্যমে দেশ শাসনের কৃত্রিম গোত্রগত অনুভূতি তৈরি করে শাসনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এর ফল হল আরো বিভাজন, সামাজিক অবক্ষয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং পরনির্ভরতা। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাকিস্তান এবং মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে মত নয়। পাকিস্তানী বলে কোন মৌলিক বৃহৎ জাতি-সংস্কৃতি নেই, মিয়ানমারও বহু ক্ষুদ্র জাতির একটি দেশ যার ফলে এই দুই দেশেই আসাবিয়াহ অনুপস্থিত। তাই ধর্ম ও সামরিক শাসন তাদের নিয়তি।
দেশের মানসিক বিকৃত কয়েকটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় পাক-মার্কিন গৃহযুদ্ধের কারিগরেরা দেশে একটি গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে আমাদের দেশের আসাবিয়াহকে নির্মূল করতে চায় এবং সেটাকে দেশের রাজনীতি থেকে বর্জন করতে চায়। এটা বাস্তবায়নের জন্যই সরকার পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তার পরবর্তী নানা অপকর্ম করা হচ্ছে যার পরিণতি হচ্ছে একটি গৃহযুদ্ধ। দেশের এই বিপজ্জনক পরিণতির জন্য যারা নতুন সরকার গঠন করেছে এবং যারা এর পেছনের কলকাঠি নাড়ছে তারা সবাই দায়ী থাকবে। মিয়ানমারে আর এক নোবেল বিজয়ীর নেতৃত্বে সেটা ঘটেছে এবং আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে যেটির আভাষ এর মধ্যেই পরিষ্কার।
শান্তি, প্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই দেশকে তাই এই জাতি-সংস্কৃতির আসাবিয়াহদেরই শাসন করতে হবে। সংবিধান নতুন করে লেখার এজেন্ডা নিয়ে মাইগ্রান্টস এবং বুদ্ধিজীবীদের যতই প্রতিষ্ঠা করা হোক না কেন, সেটা ব্যর্থ হবে এবং সেটাকে জোর করে চাপিয়ে দিলে বিভাজন, সামাজিক অবক্ষয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং পরনির্ভরতা চরমভাবে বৃদ্ধি পাবে অথবা গৃহযুদ্ধে বিলীন হবে এই বাংলা।