এই মার্চের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের সাথে পাঞ্জাবী পরে ইফতার করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সফরে এসে বাংলাদেশকে কী বার্তা দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব? তিনি বলেছেন "মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ থেকে মানবিক সহায়তা চ্যানেল চালু করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।"
আন্তোনিও গুতেরেসের এই বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে মানবিক সহায়তা চ্যানেল চালু করার কথা বলার পর থেকেই আমরা শুনছি রাখাইনে আরাকান আর্মিকে রসদ সহযোগিতার কথা যেটা নাকি আমেরিকার চাওয়া। একই মানবিক সহায়তা চ্যানেল দিয়ে রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে যেমন তাদের জীবন যাপনে সহায়তা করা যেতে পারে, সেই একই চ্যানেল দিয়ে আরাকান আর্মিকেও সহায়তা করা যেতে পারে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই বুদ্ধি যার মাথা থেকেই আসুক, সেটা যে পরিণত কারও মাথা থেকে আসেনি সেটা পরিষ্কার।
যুদ্ধরত একটি এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহযোগিতা দেওয়া যায়, কিন্তু যুদ্ধরত কোন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মানবিক সহযোগীতাও করা যায় না, সেটা করলে যুদ্ধে সহায়তাকারী হয়ে যেতে হয়। মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশের অবৈধ সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা চ্যানেল চালু করার অজুহাতে আরাকান আর্মিকে সহায়তা করে নিজেকে ঐ যুদ্ধের সাথে সংযুক্ত করতে চায়। তারা হয়ত ভাবছ এটা করলে আমেরিকাকে সাথে পাওয়া যাবে এবং বছর দশেক সরকারে থাকা তখন কোন সমস্যাই না।
৫ই অগাস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে যেটুকু খবর পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে আরাকান বাংলাদেশ সীমান্ত এখন মুক্ত। এর মধ্যে প্রচুর নতুন রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হয়েছে। সীমান্ত অনেকটাই মুক্ত বলে বলছে অনেকে। এটা দিয়ে হয়ত সরকার এই বার্তা দিতে চাইছে যে তারা আরাকান আর্মিকে সব রকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
কিন্তু কি ভাবছে আরাকান আর্মি? বাসস জানাচ্ছে (ঢাকা, ১৫ মার্চ, ২০২৫) “সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন এবং তাদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা জরুরি হয়ে পড়েছে”। বিদেশে থাকা আরাকানীদের অনলাইন মুখপত্র গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্কে ১৩ এপ্রিল জিএএন ওয়ারাজেইন নামে একজন একটি মতামত ছাপিয়েছেন যেখানে ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান ও আরাকান আর্মি নীতিগতভাবে যোগ্য প্রত্যাবাসীদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুকতা প্রকাশ করেছে এই বক্তব্য দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে সেটা শুধুমাত্র তখনই হবে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সেখানে সাতটি শর্ত দেয়া হয়েছে ও বলা হয়েছে যে এই শর্তগুলো স্বেচ্ছাচারী নয়; এগুলো স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। সেখানে শর্তের পদক্ষেপগুলোকে একটি রোডম্যাপ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্কের সেই প্রবন্ধটির এআই বাংলা দিয়ে দিলাম যাতে তাদের মনোভাব বুঝতে সুবিধা হয়:
"আরাকানের বিপজ্জনক চৌরাস্তা: প্রত্যাবাসনের মুখে সতর্কতা, স্মৃতি এবং দায়িত্ব
গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক এপ্রিল ১৩
লিখেছেন: ওয়ারাজেইন, জিএএন
বাংলাদেশ থেকে (চট্টগ্রামীয়) মুসলিম শরণার্থীদের আরাকানে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী আরাকানের জনগণ এবং ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান/আরাকান আর্মি (ULA/AA) নেতৃত্বের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই উদ্বেগগুলো পক্ষপাত থেকে উদ্ভূত নয়, বরং ঐতিহাসিক আঘাত, ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা এবং এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে এমন বাস্তব হুমকির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। মায়ানমারের SAC (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল) বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করছে প্রথম ধাপে ১৮০,০০০ শরণার্থী গ্রহণের জন্য—যদিও তারা আরাকানের সীমান্ত অঞ্চলের উপর কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রাখে না—এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে: এই পদক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য কী, এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে?
ঐতিহাসিক স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ
আজকের পরিস্থিতি বোঝার জন্য ইতিহাসের ভার বিবেচনা করতে হবে। আরাকান ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত একটি সার্বভৌম রাজ্য ছিল, যখন বার্মিজরা এটি দখল করে নেয়। ৪০ বছরের কঠোর শাসনের পর, ১৮২৬ সালে ব্রিটিশরা আরাকানকে সংযুক্ত করে এবং কৃষি কাজের জন্য বাংলার মুসলিমদের বড় আকারে এই অঞ্চলে স্থানান্তর শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অব্যাহত অভিবাসনের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় রাখাইন এবং অন্যান্য অ-মুসলিম জাতিগোষ্ঠীকে সংখ্যায় ছাড়িয়ে যায়।
এই জনসংখ্যাগত রূপান্তর সহিংসতা ছাড়া ঘটেনি। ১৯৪২ সালে, জাপানি আক্রমণের আগে ব্রিটিশরা পশ্চাদপসরণের সময় মুসলিম মিলিশিয়াদের অস্ত্র সরবরাহ করে, যেন তারা জাপানি অগ্রগতি প্রতিরোধ করে। কিন্তু এই মিলিশিয়ারা অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতা চালায়, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং পুরো গ্রামকে বাস্তুচ্যুত করে। এই ঘটনার আঘাত আজও রাখাইন জনগণের সমষ্টিগত স্মৃতিতে প্রতিধ্বনিত হয়।
১৯৪৭ সালে, চট্টগ্রাম এলাকার মুসলিমরা দাবি করে যে উত্তর আরাকানকে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করা হোক, যে দাবি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যাত হয় কিন্তু ভুলে যাওয়া যায়নি। তখন থেকে, উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠীগুলো বারবার এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দখলের চেষ্টা করেছে। "আরাকানিস্তান" এর মতো শব্দ উগ্রপন্থীরা তৈরি করেছে, যা একটি ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের তাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্যের প্রতীক।
আধুনিক নিরাপত্তা হুমকি
গত দশকে এগিয়ে এসে, আমরা ARSA (আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি) নামক একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের উত্থান দেখতে পাই, যারা ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে নিরাপত্তা চৌকিতে মারাত্মক হামলা চালায়। এই সমন্বিত আক্রমণগুলো তৎমাদো (মায়ানমার সেনাবাহিনী) কর্তৃক ব্যাপক সামরিক প্রতিক্রিয়া উসকে দেয়, যার ফলে আনুমানিক ৭৫০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। যদিও সেনাবাহিনীর "ক্লিয়ারেন্স অপারেশন" আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে পড়েছে, ARSA এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর উসকানি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়েছে।
এমনকি আজও, ARSA এবং সংশ্লিষ্ট উগ্রপন্থীরা উত্তর আরাকানে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি AA সৈন্যদের হত্যা, চারজন খামি বেসামরিক নাগরিকের হত্যা, এবং উগ্রপন্থী বক্তৃতার পুনরুত্থান—যার মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিহাদের আহ্বান জানিয়ে একটি বিশাল সমাবেশ অন্তর্ভুক্ত—এই গোষ্ঠীগুলোর তাৎক্ষণিক হুমকির গুরুত্ব তুলে ধরে। এই ধরনের একটি সমাবেশ—যা দিল মোহাম্মদের মতো ব্যক্তি নেতৃত্ব দিয়েছেন, যিনি SAC-এর প্রাক্তন সহযোগী—এটি প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কিছু উপাদানের সাথে বিপজ্জনক মাত্রায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
SAC-এর পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা
এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে SAC, আরাকানের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ ULA/AA-এর কাছে হারিয়ে ফেলে, একটি অকাল ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে চায়। SAC-এর স্থানীয় ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের (অর্থাৎ ULA/AA) সাথে সমন্বয় না করে হাজার হাজার শরণার্থী গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া উভয়ই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উসকানিমূলক। বিশ্লেষকরা মনে করেন এই পদক্ষেপটি সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি, অস্থিরতা উসকে দেওয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে বর্ণনা পরিবর্তনের জন্য ডিজাইন করা হতে পারে।
দায়িত্বশীল পথ: ধাপে ধাপে এবং শর্তসাপেক্ষ প্রত্যাবাসন
ULA/AA নীতিগতভাবে যোগ্য প্রত্যাবাসীদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুকতা প্রকাশ করেছে, তবে শুধুমাত্র তখনই যখন পরিস্থিতি সঠিক হবে। এই শর্তগুলো স্বেচ্ছাচারী নয়; এগুলো স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো একটি রোডম্যাপ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে:
- প্রথমে নিরাপত্তা স্থিতিশীল করুন: ARSA এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর সব ধরনের উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আরাকান থেকে নির্মূল করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত নয়।
- ভিত্তি অবকাঠামো তৈরি: নিরাপদ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে সঠিক আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা সুবিধা তৈরি করতে হবে যাতে নিরপেক্ষতা এবং গুণগত মান নিশ্চিত হয়।
- দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জীবিকা প্রস্তুতি: প্রত্যাবাসীদের অর্থনৈতিকভাবে সংহত করতে এবং নির্ভরতা এড়াতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ প্রদান করতে হবে।
- সামাজিক সংহতি এবং নাগরিক শিক্ষা: অতীতের ক্ষত নিরাময়, সহনশীলতা প্রচার এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সকলকে নিয়ে নাগরিক কর্মসূচি শুরু করতে হবে।
- যাচাই এবং পরীক্ষা: বেসামরিক নাগরিক এবং উগ্রপন্থীদের পৃথক করার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধুমাত্র উগ্রপন্থী সংগঠনের সাথে সম্পর্কহীনদের প্রত্যাবাসনের জন্য যোগ্য বিবেচনা করা উচিত।
- ধাপে ধাপে প্রত্যাবাসন: প্রত্যাবাসন ছোট, পরিচালনাযোগ্য ধাপে হতে হবে, নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নিরীক্ষিত হতে হবে যাতে নিরাপত্তা এবং সম্মতি নিশ্চিত হয়।
- সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা: স্থানীয় অ-মুসলিম সম্প্রদায়কে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে জড়িত করতে হবে যাতে আস্থা তৈরি হয় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে ওঠে।
উপসংহার: বক্তৃতার চেয়ে দায়িত্ব
আরাকানের ইতিহাস স্থিতিস্থাপকতা, আঘাত এবং বেঁচে থাকার ইতিহাস। এই ইতিহাস এবং বর্তমান স্থল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে যে কোনো নীতি এই অঞ্চলকে নতুন করে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ULA/AA একটি কঠিন চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, মানবিক মূল্যবোধ এবং উগ্রপন্থী অনুপ্রবেশের হুমকি থেকে তার জনগণ ও ভূখণ্ডকে রক্ষা করার জরুরি প্রয়োজনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে। প্রত্যাবাসন অবশ্যই সতর্কতার সাথে, সজাগ দৃষ্টিতে এবং মুসলিম ও অ-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণকে কেন্দ্রে রেখে পরিচালিত হতে হবে।"
উপরোক্ত শর্তগুলোকে ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান ও আরাকান আর্মির দেয়া বলে ধরে নিলে দেখা যাচ্ছে এটা পরিষ্কার যে ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান ও আরাকান আর্মি উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাস নিয়ে অতি সচেতন। যে জিহাদি আবেগ নিয়ে রোহিঙ্গাদের কিছু সংগঠন উৎসাহিত, যে জিহাদি আবেগ নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার চালিত, সেই জিহাদি আবেগকেই তারা বাদ দিয়ে কথা বলতে চায়। আমরা অনেকেই ধারণা করি এই জিহাদি আবেগের উৎস পাকিস্তান। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা দপ্তর আইএসআই এবং সিআইএ মিলে যে প্ররোচনা দিয়েছে গত এক দশক, তারই ফল রোহিঙ্গাদের জিহাদি প্রভাব। সেটা না হলে আরসার প্রধান পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীর গাড়ি চালকের ভাই হবে কেন?
তবে রাখাইনে মানবিক সহায়তা চ্যানেল ও আরাকান আর্মিকে রসদ সহযোগিতা - এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই বুদ্ধি যার মাথা থেকেই আসুক, সেটা যত অপরিণত মাথা থেকে আসুক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি সরকার পরিবর্তন হয়ে ট্রাম্প সরকার না আসত, এবং বাইডেন সরকার ও মার্কিন ডিপ স্টেট আগের মতই কাজ করার সুযোগ পেত, তাহলে যতই অপরিণত হোক, মার্কিন ডিপ স্টেটের স্বার্থে হয়ত সেটাই বাস্তবায়িত হত।
একথা এখন পরিষ্কার যে জাতিসংঘের করিডোর প্রস্তাব, আরাকান আর্মিকে সহায়তা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এই তিনটিকে ঘোঁট পাকিয়ে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের একটি খর্ব বুদ্ধির চাতুরী করার চেষ্টা এই সরকার করছে। তাদের কেউ কেউ মানচিত্র পরিবর্তনের কথাও বলেছে। এই সব খর্ব বুদ্ধির চাতুরী সাধারণত পাকিস্তানের জেনারেলদের মাথা থেকে আসে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ানো ও সপ্তম নৌবহর নিয়ে মানসিক খর্ব বুদ্ধির চাতুরী আমরা দেখেছি। সপ্তম নৌবহর আসেনি। নতুন মার্কিন সরকার রাখাইনে আরাকান আর্মিকে সহায়তায় আসবে না – এটাই আশা করি।