EN
আরও পড়ুন
ধর্ম ও দর্শন
গ্লোবালিস্টদের উদ্যোগ ও সহায়তায়
গবেষণা
বহুকাল দারিদ্র ও অপুষ্টিতে ভোগা সমাজের হঠাৎ ধনী হয়ে যাওয়া
রাজনীতি
মিয়ানমার নিয়ে বিপজ্জনক খেলা
রাজনীতি
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর হুমকি
রাজনীতি
JadeWits Technologies Limited
রাজনীতি

দক্ষিন এশিয়ার নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরন ও

হারাধনের চীন ভ্রমণ

ভারতে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয়েছিল ১৯৬৯ সালে যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এর ৫৬ বছর পর বর্তমানে ভারতে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে যার সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে উভয় ট্রেনেরই দূরপাল্লার গড় গতি হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার কাছাকাছি। এই তথ্য প্রমাণ করে একটি ট্রেন কত দ্রুত তার গন্তব্যে পৌঁছাবে সেটা তার গতি ক্ষমতার উপরই শুধু নির্ভর করে না, নির্ভর করে রেলপথের সক্ষমতার উপর। একটি রেলগাড়ির গতি ক্ষমতা বাড়ানো খুবই সহজ, কিন্তু  দিল্লি-আসাম ২৪৫২ কিলোমিটার রেলপথের গতি সক্ষমতার উন্নয়ন মুখের কথা নয়। এর সাথে বিশাল পরিকল্পনা, বিপুল অর্থব্যয় ও মানুষের আচরণগত বিষয় জড়িত থাকে অনেক সময় যেটা লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেও অর্জন করা সম্ভব হয় না।

রেলের গতি যেমন রেলপথের গতির উপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বিদেশী ঋণ তেমনই সরকার প্রধানের উপর নয়, দেশটি কতটুকু স্থিতিশীল, অর্থনীতি কতটা মজবুত, রাষ্ট্রের আইন কানুন ও সুশাসন কতটুকু কার্যকরী ও সরকার কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটার উপর নির্ভর করে। বর্তমানে বাংলাদেশের অবৈধ সরকার প্রধানের চীন সফর নিয়ে অনেকেই নানা কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছেন কিন্তু বর্তমান সরকার প্রধানের চীন সফর নিয়ে কোন ভাল খবর আসবে না। 

ভূরাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন এমন অনেকেই জানেন যে বাংলাদেশে যে ২০২৪ এর সরকার পরিবর্তন সেটা বহু অংশীদারের বহু উদ্দেশ্যের একটি মাল্টি স্টেকহোল্ডার মাল্টিমোডাল পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনায় জর্জ সোরসের ওপেন সোসাইটির জাতীয়তাবাদ নিধনের যে দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্য, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক রাজনৈতিক দৃঢ় বুননটাকে নষ্ট করা যায়, যার ফলে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে একসময় সম্পদশালী ভারতকে দখল করা যেতে পারে। তার সাথে ছিল পাকিস্তান ও তার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইএর বাংলাদেশে ভারত বিরোধী রাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রতিষ্ঠা। যার ফলে পাকিস্তানের আশু সামরিক ও নিরাপত্তা সুবিধা প্রাপ্তি। তবে এগুলোর চেয়েও মার্কিন বিগত বাইডেন সরকারের সবচেয়ে বড় যে স্টেকটি ছিল সেটি হল মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীনে জ্বালানি সরবরাহের মালাক্কা প্রণালী হয়ে যে নৌ পথ, মিয়ানমারের কিয়াউকফিউ বন্দর হয়ে তার বিকল্প পথটিতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

এই পরিকল্পনার অংশই হল রোহিঙ্গা সমস্যা তৈরি, বাংলাদেশের দক্ষিন পূর্বের পার্বত্য এলাকা, ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের রাখাইনে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি। এর সাথে যুক্ত হল সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সামরিক ব্যবহার, সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর এবং মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের সিদ্ধান্ত। চীন আমেরিকা ও ভারত এই তিন বৃহৎ শক্তির স্বার্থ ও প্রতিযোগিতায় বিগত হাসিনা সরকারকে খুব হিসাব করে এগোতে হয়েছে। এই অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক অবস্থিতি ভারত ও চীন কেউই চায় না। জাপান মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে আগ্রহী যারা আসলে আমেরিকারই প্রতিনিধি। অপর দিকে চীনের একছত্র নিয়ন্ত্রণ ভারতের পছন্দ নয়। সেই কারণে বিষয়টাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে বিগত ২০২০ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে এসেছিল হাসিনা সরকারই। 

অপরদিকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, যেটা কক্সবাজারে অবস্থিত, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প যা বর্তমানে নির্মাণাধীন। জাপান এই প্রকল্পের পছন্দের নির্মাতা হিসেবে রয়েছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এগিয়ে নিতে অতি উৎসাহী এবং জাপান সরকারও। 

মাতারবাড়ি বন্দর বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর, যা ১৮.৫ মিটার গভীরতার বড় জাহাজগুলোকে ধারণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিদ্যমান বন্দর যেমন চট্টগ্রাম (৯.৫ মিটার) এর তুলনায় অনেক বেশি সক্ষমতা সম্পন্ন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে প্রকল্পটি শুরু হয়। এটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দ্বারা প্রধানত অর্থায়িত, যার মোট আনুমানিক ব্যয় প্রায় ২৪,৩৮১ কোটি টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যার মধ্যে জাপান প্রায় ৮০% কম সুদে ঋণ হিসেবে সরবরাহ করে। বন্দরটি মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগের (এমআইডিআই) অংশ, যার মধ্যে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং উন্নত আঞ্চলিক সংযোগ অন্তর্ভুক্ত। ২০২০ সালের একটি চুক্তির পর নির্মাণ কাজ শুরু হয়, এবং প্রথম ধাপটি ২০২৯ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের অক্টোবরে সময়সীমা সংশোধন করে এটি অনুমোদন করেছে।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর, মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মাতারবাড়ি প্রকল্পকে তার একমাত্র বড় অবকাঠামো উদ্যোগ হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর, পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জাপানের ভূমিকার উপর জোর দেন, উল্লেখ করে যে জাপানের ঋণের শর্ত—কম সুদের হার এবং দীর্ঘ পরিশোধের সময়—অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক। এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে, যা অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা ছাড়াই বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাপানের সাথে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি চীনের সমর্থনে সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মাতারবাড়ি থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সোনাদিয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালে বাতিল করা হয়, যা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে বলে মনে করা হয়। তারা ভারত মহাসাগরে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। মাতারবাড়িতে জাপানের অংশগ্রহণ তাই একটি কৌশলগত ধারাবাহিকতা প্রতিনিধিত্ব করে, যা অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার সাথে ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার ভারসাম্য বজায় রাখে।

জাপান ও আমেরিকা মাতারবাড়িকে তার “মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক” কৌশলের একটি মূল ভিত্তি হিসেবে দেখে, যা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত। এই বন্দরটি জাপানের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং ভারতের ভূমিবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নেপাল ও ভুটানের সাথে সংযোগ সহজতর করবে। ২০২৩ সালে ভারত সফরের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মাতারবাড়ির ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন, বঙ্গোপসাগর জুড়ে একটি “শিল্প মূল্য শৃঙ্খল” গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালের মধ্যে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ এবং ২০১৪ সাল থেকে বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) উদ্যোগের অধীনে বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জাপানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট।

সোনাদিয়ার সুযোগ হারানোর পর চীন সম্ভবত মাতারবাড়ির অগ্রগতিকে নিশ্চই উদ্বেগের সাথে দেখছে। বঙ্গোপসাগরের কাছে বন্দরটির কৌশলগত অবস্থান—ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের সাথে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ—বাংলাদেশে চীনের পদচিহ্ন নিশ্চিত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য হুমকি। সোনাদিয়া বাতিলের মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে বন্দর বিনিয়োগের মাধ্যমে চীনের “স্ট্রিং অফ পার্লস” কৌশল ব্যাহত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ অন্যান্য প্রকল্পে (যেমন, বিআরআই-এর অধীনে অবকাঠামো) চীনের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে, তবুও মাতারবাড়িতে জাপানের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পছন্দ এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চীনা প্রভাব থেকে সতর্ক দূরত্বের ইঙ্গিত দেয়। চীন প্রকাশ্যে প্রকল্পটির বিরোধিতা করেনি, তবে জাপান ও ভারতের সাথে তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্তর্নিহিত অসন্তোষের পরিচয় দেয়।

ভারত মাতারবাড়ির উন্নয়নকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে, এটিকে চীনের আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখে। চীনের সোনাদিয়া প্রকল্প নিয়ে ভারতের উদ্বেগ—আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে চীনের নৌ উপস্থিতির ভয়—বাংলাদেশকে জাপানের দিকে ঝুঁকতে রাখার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করেছিল। মাতারবাড়ি ভারতের জন্য একটি ব্যবহারিক সুবিধা প্রদান করে: উত্তর-পূর্বের “সেভেন সিস্টার্স” রাজ্যগুলির জন্য একটি গভীর সমুদ্র বন্দরে প্রবেশাধিকার, যা বাণিজ্য বাড়ায় এবং সিলিগুড়ি করিডোরের উপর নির্ভরতা কমায়। তবে, বর্তমানে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সরকার আসার ফলে এই বন্দর তৈরিতে জাপানের ভূমিকা নিয়ে ভারতের নতুন চিন্তা থাকতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যদিও সরাসরি জড়িত নয়, চীনকে সীমাবদ্ধ করার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে জাপান-ভারত অংশীদারিত্বকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে। ২০২৩ সালে হাসিনার উত্থাপিত মাতারবাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির আগ্রহ নিয়ে জল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যা নতুন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমীকরণ তৈরি করবে। 

২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মাতারবাড়ি প্রকল্প স্থিরভাবে অগ্রসর হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার গুণগত সমাপ্তি নিশ্চিত করতে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জাপান-আমেরিকা অক্ষকে শক্তিশালী করবে এবং চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সূক্ষ্মভাবে পিছনে ফেলবে। অপরদিকে ভারতের বেছে নিতে হবে চীনের বিনিময়ে আমেরিকাকে।

বাংলাদেশের ২০২৪ এর সরকার পরিবর্তন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, বঙ্গোপসাগর এলাকায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাখাইন ও মিজোরামে অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি – এই সবকিছু চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছিল। ২০২৫ সালে আমেরিকার ট্রাম্প সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সমীকরণে নতুন মাত্রা তৈরি হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমেরিকা বাংলাদেশ বা বঙ্গোপসাগরে তাদের সামরিক উপস্থিতি চায় না। তারা বিষয়টা ভারতকে সাথে রেখে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

বাংলাদেশের অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন বৈরী। অপরদিকে মার্কিন প্যাসিফিক কম্যান্ডের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা এখন ঢাকায়। রাখাইন এলাকা ও গৃহযুদ্ধরত মিয়ানমারের সমুদ্র উপকূলবর্তী যে সব এলাকা বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে সেই সব এলাকা পুনর্দখল করতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভিযান চালাতে প্রস্তুত যেটা চীন সরকারের পরিকল্পনামতই হবে। এই সময়ে সবচেয়ে নাজুক ও অসহায় হচ্ছে বাংলাদেশের অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের আদর করে ঋণ বা প্রকল্প দেওয়া নয়, বরং এই সময় চীন বিরোধী কর্মকান্ড করলে ঠ্যাং ভেঙে দেবার হুমকি দেবার জন্যই বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে হয়। কারণ তাদের পেছনে হারাধনের ছেলেদের মত এখন ভারতও নেই আমেরিকাও নেই, শুধু ছিল পাকিস্তান - তুলশি গ্যাবার্ডের হুমকিতে তারাও এখন পালিয়েছে।

JadeWits Technologies Limited
সর্বশেষপঠিতনির্বাচিত

আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করি। আমাদের কুকি নীতির শর্তাবলী জানার জন্য অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন। কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মত হলে, 'সম্মতি দিন' বাটনে ক্লিক করুন।