EN
আরও পড়ুন
ধর্ম ও দর্শন
গ্লোবালিস্টদের উদ্যোগ ও সহায়তায়
গবেষণা
বহুকাল দারিদ্র ও অপুষ্টিতে ভোগা সমাজের হঠাৎ ধনী হয়ে যাওয়া
রাজনীতি
মিয়ানমার নিয়ে বিপজ্জনক খেলা
রাজনীতি
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর হুমকি
রাজনীতি
JadeWits Technologies Limited
রাজনীতি

জুলাই সন্ত্রাস ও মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ফোর্স মিশন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে এখন সেনাবাহিনীর বিরোধ কেন?

আপনি যদি জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ঘটনা এবং তার পরের সরকার পরিচালনার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন অনেকটা তড়িঘড়ি করে এবং কোন ধরণের দক্ষতা বিচার না করেই সরকার প্রধান ও তার উপদেষ্টাদের বাছাই করা ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটি স্পষ্ট ছিল যে এই উপদেষ্টা পরিষদ জনগণের জন্য একটি পোশাকী প্রদর্শনী মাত্র এবং এরা কেউই ২০২৪ এর বিশাল সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে যোগ্য নয়। খুব দ্রুতই সর্বক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা তাই ফুটে ওঠে। প্রশাসন স্থবির হয়ে যায় এবং সরকার দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। উপদেষ্টা পরিষদের কাজ কর্ম ও কথায় কোন মিল থাকে না এবং সর্বক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দৃশ্যমান হয়। যে এজেন্ডা ও ম্যান্ডেট ঘোষণা করে সরকার পরিবর্তনে মানুষকে আহ্বান করা হয়েছে এবং যে অভিযোগ দেখিয়ে বিগত সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে, সেই অভিযোগে অল্প সময়েই নতুন সরকার আরো কয়েকগুন বেশি অপরাধী হয়ে ওঠে এবং তাদের এজেন্ডা ও ম্যান্ডেট থেকে তারা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে থাকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এতে সরকারের কোন বিকার পরিলক্ষিত হয় না। তারা যেন চাবি দেওয়া পুতুলের মত একই ঘোর এবং একই মিথ্যার চক্রে ঘুরতে থাকে।   

কিন্তু প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক পতনের মুখে সরকারের চরম বিশৃঙ্খলা দৃশ্যমান হলেও ভূরাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্র কাঠামো ভিত্তিক সিদ্ধান্ত সুশৃঙ্খলভাবেই এগোতে থাকে। ভারতের সাথে শত্রুতা তৈরির প্রচেষ্টা, পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ ও সামরিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী বন্দীদের মুক্তি, ইসলামী মৌলবাদী শক্তিকে প্রশ্রয়, মিলিশিয়া বাহীনি তৈরি, পুলিশকে শক্তিশালী করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা না করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী দলকে খোলামেলা শক্তি প্রদর্শন করতে দেওয়া – এসব কর্মকান্ড প্রমাণ করে সরকারের ভেতরের সরকারের উপস্থিতি। কাজ কর্ম দেখে এটা প্রতীয়মান হয় যে জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে গঠিত দৃশ্যমান নতুন সরকার যতই বিশৃঙ্খল ও অথর্ব হোক না কেন, জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে গঠিত সরকারের ভেতরের সরকার, নতুন ডিপ স্টেট খুবই দক্ষ ও সুশৃঙ্খল।

বাংলাদেশে ২০২৪ এর জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে যে সরকার পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে তেমন সরকার পরিবর্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন বাহিনী, ইউএসএসওএফ এর এখতিয়ারে মধ্যে পড়ে। ইউএসএসওএফ (United States Special Operations Forces) হলো মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, যারা দুনিয়া জুড়ে বিশেষ ধরনের গোপন ও জটিল সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। 

ইউএসএসওএফ এর বারোটি মূল কার্যক্রম রয়েছে। সেগুলো হল:

  1. সরাসরি অভিযান (Direct Action), যেটা হল স্বল্প সময়ের জন্য আঘাত এবং ছোট আকারের আক্রমণ পরিচালনা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু দখল, ধ্বংস, উদ্ধার, পুনরুদ্ধার বা ক্ষতিগ্রস্ত করা।
  2. বিশেষ নজরদারি (Special Reconnaissance), যেটা সংবেদনশীল পরিবেশে কৌশলগত বা কার্যপরিচালনার গুরুত্বসম্পন্ন তথ্য সংগ্রহ বা যাচাই করার জন্য পরিচালিত অভিযান।
  3. অপ্রচলিত যুদ্ধ (Unconventional Warfare), যেটা হল প্রতিরোধ আন্দোলন বা বিদ্রোহকে সহায়তা করা, যা কোনো সরকার বা দখলদার শক্তিকে বাধ্য করা, বিঘ্ন ঘটানো বা উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
  4. বিদেশি অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা (Foreign Internal Defense - FID), যেটা হল স্বাগতিক দেশের প্রতিরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা করা, যাতে অন্তর্ঘাত, সন্ত্রাসবাদ, বিদ্রোহ বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধ করা যায়।
  5. নাগরিক কার্যক্রম (Civil Affairs Operations - CAO), যা হল মার্কিন ও মিত্র সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নত করা, বিশেষ করে যেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
  6. সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Counterterrorism - CT), যা সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযান পরিচালনা এবং বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিবেশ সন্ত্রাসীদের জন্য প্রতিকূল করে তোলা।
  7. সামরিক তথ্য সহায়তা কার্যক্রম (Military Information Support Operations - MISO), যা হল বিদেশি জনগোষ্ঠীর কাছে নির্দিষ্ট তথ্য প্রচার করে তাদের আবেগ, উদ্দেশ্য, যৌক্তিক চিন্তা বা আচরণ মার্কিন বা স্বাগতিক দেশের স্বার্থে প্রভাবিত করা।
  8. গণ বিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধ (Counter-proliferation of WMD), অর্থাৎ রাসায়নিক, জৈবিক, তেজস্ক্রিয় এবং পারমাণবিক (CBRN) অস্ত্রের উন্নয়ন, অধিকার, বিস্তার ও ব্যবহার প্রতিরোধে মার্কিন সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা।
  9. নিরাপত্তা বাহিনী সহায়তা (Security Force Assistance) অর্থাৎ বিদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন শাখাকে সংগঠিত করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রসজ্জিত করা, পুনর্গঠন করা বা পরামর্শ প্রদান করা।
  10. বিদ্রোহ দমন (Counterinsurgency - COIN), যা টার্গেট দেশের বেসামরিক ও সামরিক প্রচেষ্টার সমন্বয়ে বিদ্রোহী সহিংসতা দমন এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে সহায়তা করা।
  11. জিম্মি উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার (Hostage Rescue and Recovery) যা মার্কিন স্থাপনা, সংবেদনশীল উপকরণ বা কর্মীদের জিম্মি হওয়া রোধ, প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ, যা মার্কিন স্বার্থবিরোধী অঞ্চলে হতে পারে।
  12. বিদেশি মানবিক সহায়তা (Foreign Humanitarian Assistance) যা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে পরিচালিত হয় এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার সঙ্গে মিলিত হয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য পরিচালিত হয়।

ইউএসএসওএফ তার টার্গেট কান্ট্রিতে বেশ কয়েক রকমের গোপন অপারেশন পরিচালনা করতে পারে যার মধ্যে সরাসরি সেনা উপস্থিতি বা সামরিক সংঘর্ষ ছাড়াই শাসন পরিবর্তন বা রেজিম চেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই ধরনের কার্যক্রম সাধারণত গোপনীয়তার সাথে এবং পরোক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা হয়, যেমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বিদ্রোহী বা সরকার বিরোধী গোষ্ঠীকে সমর্থন, সহায়তা, বিপ্লবের জন্য বিশেষ প্রচারণা, গুজব বা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। এটি তাদের বারোটি মূল কার্যক্রমের মধ্যে কয়েকটির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত, যেমন বিশেষ করে "অপ্রচলিত যুদ্ধ" (UW)এবং "সামরিক তথ্য সহায়তা অপারেশন" (MISO) দ্বারা। ইউএসএসওএফ-এর গোপন অপারেশনগুলো প্রায়ই সিআইএ এর সাথে সমন্বয় করে পরিচালিত হয়। এই অপারেশনগুলোর লক্ষ্য হয় শত্রু সরকারকে দুর্বল করা বা সরকার উৎখাত করা। ইউএসএসওএফ "অপ্রচলিত যুদ্ধ" কার্যক্রমের অধীনে বিদ্রোহী বা প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে। এটি সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ ছাড়াই শাসনকে অস্থিতিশীল করতে পারে। "সামরিক তথ্য সমর্থন অপারেশন" (MISO)-এর মাধ্যমে ইউএসএসওএফ বিদেশী জনগণ, গোষ্ঠী বা সরকারের মনোভাব ও আচরণকে প্রভাবিত করার জন্য তথ্য ছড়ায়। এটি জনমত গঠন করে শাসনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়াতে পারে। "বিশেষ গোয়েন্দা" (SR) কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউএসএসওএফ গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে, যা শাসন পরিবর্তনের পরিকল্পনায় ব্যবহৃত হয়। এটি সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

ইউএসএসওএফ-এর গোপন অপারেশনগুলোতে সাধারণত নিম্নলিখিত কৌশল ব্যবহৃত হয়:

  1. অর্থনৈতিক চাপ: নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য বাধা দিয়ে দেশের অর্থনীতি দুর্বল করা।
  2. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ: বিরোধী দল বা গোষ্ঠীকে অর্থ ও সমর্থন দেওয়া।
  3. মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ: গুজব, ভুয়া তথ্য বা প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
  4. গোপন প্রশিক্ষণ: স্থানীয় বিদ্রোহী বা সামরিক গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে তারা নিজেরাই শাসনের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

বাংলাদেশে ২০২৪ এর জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা একটি মাল্টি স্টেকহোল্ডার মাল্টি লেয়ার ক্লান্ডেস্টাইন সুইচিং অপারেশেন ছিল। যার অর্থ ইউএসএআইডির মত ‘অরাজনৈতিক’ ও ‘নির্দোষ’ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্র প্রস্তুতি এবং এনইডি, আইআরআই এর মত সংস্থাগুলোর সরাসরি সরকার পরিবর্তনে অবদান রাখা। এর সাথে এই অপারেশনের নানা স্টেকহোল্ডারদের গাইড করা হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি মেনে। এই স্টেকহোল্ডাররা হল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের রাজনৈতিক অংশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মিলিশিয়া বা সন্ত্রাসী অংশ, সন্ত্রাসের জন্য কিশোর গ্যাং, নানা এনজিও যারা দীর্ঘদিন সরকার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, মিডিয়া যারা সরকারের নিয়মিত চরিত্রহনন ও সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, ধর্মীয় ও অতি ডান রাজনৈতিক দল, শিক্ষায়তন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বরা, ইত্যাদি।   

এটা নিশ্চিত করে বলা যায় বাংলাদেশে ইউএসএসওএফ-এর পদ্ধতি অনুসরণ করে গোপন অপারেশনে দেশি কোন উচ্চ ক্ষমতার সত্তা বা এনটিটি জড়িত ছিল যারা অতি ক্ষমতাশালী। এর ফলেই আমরা দেখেছি সরকার পরিবর্তনের পর পরই নতুন ডিপ স্টেটের খুবই দক্ষ ও সুশৃঙ্খল কর্মকান্ড। অপর দিকে ইউএসএসওএফ এর পলিসি ও পদ্ধতি অনুসরণ করে পাকিস্তানের আইএসআই এবং তাদের দেশী এজেন্টরাও এর সাথে জড়িত। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর যখন তারা নিজেরাই মার্কিন ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তখনও আমরা বাংলাদেশের নতুন ডিপ স্টেটের কার্যক্রম চলমান দেখেছি। 

কিন্তু মার্কিন নিরাপত্তা প্রধান ডিএনআই তুলশী গ্যাবার্ডের ভারত ভ্রমণের পর আমরা দেখলাম পরিস্থিতির পরিবর্তন। এটার একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে, সেটা হল সেনাবাহিনীর ভেতরেই সেই ডিপ স্টেট কাজ করে যাচ্ছিল যারা পূর্বতন ইউএসএসওএফ এর মিশন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিল এবং সেটা অবশ্যই পাকিস্তানের আইএসআই এর পক্ষে। 

সেনাবাহিনীর ভেতরের সেই সত্তা বা এনটিটিটি নিউট্রালাইজড হয়ে যাবার পর জুলাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিবর্তিত সরকার আর ইউএসএসওএফ বা আইএসআই এর পুরাতন ফর্মুলায় কাজ করবে না এবং তাদের এজেন্ডায় সমর্থনও করবে না। আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য নতুন মার্কিন সরকারের পলিসি, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী ভারতের সাথে সুসম্পর্ক এবং দেশের জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যেই সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে। এখনেই ফাঁক তৈরি হয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে এখন সেনাবাহিনীর। যে ফাঁক অনেক গভীর।

JadeWits Technologies Limited
সর্বশেষপঠিতনির্বাচিত

আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করি। আমাদের কুকি নীতির শর্তাবলী জানার জন্য অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন। কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মত হলে, 'সম্মতি দিন' বাটনে ক্লিক করুন।