কিছুদিন আগে একটি অফিসিয়াল কন্ট্রাক্ট সাইনিং এর কাজে দুদক অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি দুদকের উৎসাহে দেশের বেশ কিছু বিদ্যালয় ‘সততা স্টোর’ খোলা হয়েছে। একজন পরিচালক অতি উৎসাহ নিয়ে আমাকে বললেন শিশু কাল থেকে তারা সততা শিখাতে চান। সততা স্টোরের ওই দোকানগুলোতে কোন দোকানদার নেই। শিশুরা নিজেরাই দোকান থেকে জিনিষ কিনে এবং দামটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেয়।
শিশুদের জন্য পরিকল্পনাটা শুনে সাধারণ জ্ঞানে মনে হয় যেন সেটা চমৎকার, কিন্তু এই ধারণাটাই শিশুতোষ। জানিনা কোথা থেকে তারা এই শিশু মনস্তত্ব শিখেছেন। আমি যতটুকু শিশু মনস্তত্ব পড়েছি, শিশুদের মস্তিস্ক গঠনে যে নিউরোবায়োলজিক্যাল ও মনোবিদ্যাগত প্রক্রিয়া, তাতে একটি বয়সে শিশুদের লোভী হওয়া স্বাভাবিক। ৫-১২ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের ইন্দ্রিয় আবেগ তাদের সিদ্ধান্তগ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে। ১২ বছর থেকে থেকে তাদের মধ্যে আত্ম মর্যাদা, সামাজিকভাবে ভাল হওয়া, আদর্শ চিন্তা এইসব মূল্যবোধগুলো প্রভাব বিস্তার শুরু করে। ১০ বছরের আগে যদি কোন শিশু নির্লোভ, আদর্শ আচরণ করে থাকে তবে নিশ্চয়ই তার মধ্যে অন্তরের স্পৃহাকে (ইন্দ্রিয় যা চাইছে) সেটাকে মূল্য দেবার ক্ষমতার কমতি, নিজ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগতা ও অতি নির্ভরশীল মানসিকতার প্রভাব থাকতে বাধ্য। যে আসলে একজন অনুকরণকারীতে পরিণত হবে।
নানা গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল শিশু কম বয়সে অতি সৎ, তারা পরিণত বয়সে বেশি অসৎ, আর যারা কম বয়সে লোভী চরিত্রের, পরিণত বয়সে তারা নানা রকম অনৈতিক প্রলোভন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। কারণ নিজের মনের লোভ আর সামাজিক ও আদর্শগত সততার যে দ্বন্দ্ব, সেটি সে ছোটবেলা থেকেই ধীরে ধীরে মোকাবিলা করতে শেখে, ও প্রলোভনের পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারে। অপর দিকে আদেশ পালন কারী অতি নির্ভরশীল মানসিকতার এগ্রিয়েবলরা, ডমিনেন্টদের স্রোতের পক্ষে চলতে থাকে।
আমরা যদি আমাদের দেহ, ভৌতবাস্তবতা, প্রকৃতি ও সামাজিক ধারণাগুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখব সব কিছুর ভেতরে একটা পরস্পরবিরোধী দ্বৈততার (ডুয়ালিটি) উপস্থিতি আছে। আপনি যদি আপনার দেহের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন দেহের মাঝ রেখা বরাবর একটা ডান বামের সুষমতা (লেফ্ট রাইট সিমেট্রি) আছে এবং চোখ, কান, হাত, পা সব কিছু দুটো করে বিপরীত দিকে। আপনি যদি একটু চুম্বকের দিকে তাকান দেখবেন তার দুটি মেরু। বিদ্যুতের দুটি চার্জ, ঠিক তেমনই ভাল-মন্দ, পাপ-পুণ্য, সৎ-অসৎ, সুস্থ-অসুস্থ এইরকম প্রায় সব কিছুই। যে কোন কারণেই হোক আমাদের এই বিশ্ব পরস্পরবিরোধী দ্বৈততায় পরিপূর্ণ।
ছোটবেলায় যখন জ্বর আসত তখন খুব খারাপ লাগত। সেই ছোটবেলায়ই প্যান্ডোরার বাক্সের গল্পটা শুনেছি। স্বর্গের মত এই পৃথিবীতে তখন রোগ, জরা, হিংসা, দ্বেষ, লোভ, মিথ্যা ইত্যাদি কিছুই ছিল না। কিভাবে কৌতুহলের বশে অসাধারণ সুন্দরী, দেবতাদের গুণে গুণান্বিতা প্রথম মানবী প্যান্ডোরা তার সেই বিবাহের উপহারের বাক্সটি খুলে ফেলেছিলেন যেটি খোলা একান্তই নিষেধ ছিল। সেটি খোলামাত্র বাক্সবন্দী রোগ, জরা, হিংসা, দ্বেষ, লোভ, মিথ্যা ইত্যাদি সব ছড়িয়ে পড়ে মানুষের পৃথিবীতে। তখন খুব রাগ হতো প্যান্ডোরার উপর। সে বাক্সটি না খুললে আমাকে জ্বরের এই কষ্টে পড়তে হতো না। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝেছি যে দ্বৈততার দুটি বিপরীতমুখী বলের দ্বন্দ্বে এগিয়ে চলে সব কিছু। জড় থেকে তৈরী হয় প্রাণ, অসমর্থ হয় সমর্থ, বুদ্ধিহীন হয় বুদ্ধিমান, উন্নত হয় স্বত্তা। ভাল মন্দের দ্বৈততা না থাকলে সেটি হত না।
যখন ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস নিয়ে কাজ শুরু করলাম। নিজেই চিপ সাজিয়ে ব্রেড বোর্ডের উপর নিজের কম্পিউটার তৈরী করলাম তখন কম্পিউটার জগতে ভাইরাস বলে কিছু ছিল না। পরবর্তীতে আমাদের চোখের সামনে দেখলাম কিভাবে শুদ্ধ ও আদর্শ ভার্চুয়াল জগতে ডিজিটাল প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গেল। শুরু হল ভাইরাসের আক্রমণ। প্রথম দিকে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফাইল করাপ্ট বা হার্ডডিস্কের পার্টিশন টেবল নষ্ট হয়ে গেলে খুব বিরক্ত লাগত। পরবর্তীতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে সেই আশির দশকের সব ডাটা, ফাইল আমার কাছে এখনও আছে। আছে এই কারণে যে ভাইরাস আসার কারণে আমাদের ডাটা প্রোটেকশন, রিটেনশন ও রিকভারির জ্ঞান ও চর্চা আরও ভাল হয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে জীবনে, জগতে এই যে ভাল মন্দের দ্বৈততা, এটি প্রকৃতির একটি নিয়ম। ভাল ও মন্দের এই যে নিয়ত দ্বন্দ্ব, এটিই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে।
গত ২৬.০৭.১৯ তারিখে আয় বৃদ্ধি যাদের হয় তাদের বিশুদ্ধতা রোগ ও সামাজিক হ্যান্ড গ্রেনেডিং নিয়ে লিখেছিলাম। এই বিষয়টি নিয়ে আমি আসলে একটি বই লিখতে পারি এই কারনে যে বিষয়টি নিয়ে এতই বিস্তারিতভাবে আমার মনে চিন্তা ভাবনা আছে। বিষয়টি অভিনব ও অতীব প্রয়োজনীয় বলেই হয়ত। হঠাৎ ধনী হলে তাদের চেতন অবচেতনের এই সেলফ ডেসট্রাকটিভ মেক্যানিজম আসলে বিবর্তনেরই একটি প্রক্রিয়া যাতে আর্থীকভাবে সফল জিন যাতে প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে ডোমিনেট করে জিনপুলের ডাইভারসিটি কমিয়ে না ফেলতে পারে। তবে সেই আলোচনা পরে অন্য কোথাও করা যাবে কারন বিষয়টা বেশ টেকনিক্যাল।
অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করে আপনি অনেক সমস্যা তুলে ধরেন কিন্তু সমাধান দেন না। আসলে এই সমস্থ বিশাল অবয়বের সমস্যা যেগুলো ধীর অর্গ্যানিক প্রক্রিয়ায় বেড়ে ওঠে সেগুলোর কোন রেডিমেড সমাধান থাকে না। সমস্যাটার প্রকৃতি বুঝতে পারলে মানুষ একটি সমাধানের পথ বের করে। এই সমস্যার সমাধান আদিম সমাজগুলো বের করেছিল যার প্রমান আমরা আদি গ্রীক ও ভারতীয় সমাজে আমরা দেখি। যদি আমরা আমাদের সঞ্চিত জ্ঞান ও নীতি নৈতিকতা ও সামাজিক শুদ্ধতার কথা বিচার করি তাহলে দেখব আদি গ্রীক সমাজ ও আদি ভারতীয় সমাজ জীবনের পরম সত্যগুলোকে খুঁজে বের করেছিল যেগুলো চর্চা করেই আসলে পশুসত্তা থেকে মানবিকতায় আমরা যাত্রা করেছি।
পদার্থ বিজ্ঞানে একদল বিজ্ঞনী চুম্বকীয় একক মেরুর সন্ধানে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন মৌলিক কণাজগতের অলিগলি। সেই আদিকাল থেকে প্রায় সকল এগিয়ে যাওয়া সভ্যতার দার্শনীকদের, ধর্মীয় গুরুদের ধারণা চুম্বকের দুটি মেরুর মত সততা আর অসততার বা ভাল ও মন্দের এই বিদ্যমান দ্বান্দ্বিকতা অবিচ্ছেদ্য। চুম্বকের শুধুই উত্তর বা দক্ষিন মেরু যেমন অসম্ভব, কিছু মানুষ সৎ ও কিছু মানুষ অসৎ এই কল্পনাও তাই অবাস্তব। তারই প্রমাণ হিসাবে আমরা যদি গ্রীক বা ভারতীয় দেব দেবীদের দেখি তবে দেখব সেখানে সমান সংখ্যায় শুভ দেবতা ও সমান সংখ্যায় অশুভ দেবতা বিদ্যমান। ভাল মন্দ উভয়েই সেখানে ঈশ্বর। প্রতিটি মানুষকে সেখানে দেখানো হয়েছে সম পরিমান সৎ বা শুভ ও অসৎ বা অশুভর ধারক হিসাবে। তার চিন্তা ও প্রকৃতি ঠিক করে দেয় সে কোন পথে যাবে। প্রতিটা মানুষই নির্দেশিত হয়েছে উভয় দেবতার শরণাপন্ন হতে যাতে ভাল মন্দ যখন যেটা মনে উদয় হয় সেটাকে দেবতার সামনে উন্মোচন করতে। যাতে তার অবচেতনের কামনা সচেতনে এনে সে নিজেকে প্রস্তুত করে তার নিজ মনের গতিবিধী নির্ণয়ে ও সময়মত তাতে লাগাম টানতে।
সামরিক উন্নাসিকতায় অন্ধ রোমানরা প্রথম মানব সত্তার এই দৈততাকে অস্বীকার করে নিজেকে শুভ ও সৎ ও যাকে পছন্দ নয় তাকে অশুভ ও অসৎ এই এই “আমরা ও তারা” বিভাজনের সূত্রপাত করে। রোমান সুর্য্য উপাসনার ধর্মে ঈশ্বর হয়ে যায় শুধুই ভাল ও সৎ আর মন্দকে দুরে তাড়িয়ে দেওয়া হয় শয়তান বলে। এটাই আসলে ধর্মের প্রকৃতি বিচ্ছিন্নতা যেটা এসেছে রোমের সামরিক মানসিকতা থেকে। আমাদের সামরিক বাহিনীর “ব্লাডি সিভিলিয়ান তত্ব” সেই একই সামরিক মানিসকতা থেকেই তৈরী। ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে যে জোরপুর্বক ট্রাফিক শৃংখলা, তার বিনিময়ে কোথাও না কোথাও সমপরিমান নৈতিক বিশৃংখলা থাকতে বাধ্য।
রোমের সম্রাট কন্সট্যানটিনের সারা দুনিয়ায় খ্রীস্টধর্ম ‘সংশোধনের’ পর ইব্রাহিমিয় সব ধর্মে এই একক মেরুর সততার ধারণা বিস্তার লাভ করে। এই ধারণা ব্যবসা ও সামরিকতা নিভর্র যে গোঁজামিলের সভ্যতা, সেখানে খুব ভাল খাপ খেয়ে যায়। আশ্চর্য্য নয় যে নাৎসী জার্মানী থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা সমাজতন্ত্রি চীনের সামরিক সমাজতন্ত্র সহ যত দেশে যত সমাজে সামরিক একনায়কতন্ত্র এসেছে ও যারা সততা ও ন্যায়বিচারের নামে মানুষের উপর অমানুষিক দমন নিপিড়ন, হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছে, তারা সবাই ভাবত তারা সৎ ও শুভ আর তাদের বিরোধিতা যারা করছে তারা অসৎ ও অশুভ।
রাশিয়ান লেখক আলেকসান্দর সোলঝেনিৎসিন তার “দি গুলাগ আর্কিপেলেগো” (গুলাগ দ্বীপপুঞ্জ) বইতে লেখেন “যদি বিষয়গুলো এতই সহজ হতো! যদি কোথাও মন্দ লোকেরা কুটিলতায় মগ্ন হয়ে অশুভ কাজে রত থাকত, তাহলে তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে ধ্বংশ করাই ভাল হতো। কিন্তু ভাল এবং মন্দের মধ্যে বিভাজনকারী রেখাটি আমাদের সকল মানুষের হৃদয়ের মাঝ বরাবর ছেদ করে গেছে; এবং কে ই বা তার হৃদয়ের একটি অংশ ধ্বংশ করতে চায়?” সোলঝেনিৎসিন আরও লিখেন “ক্রমান্বয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে ভাল ও মন্দের মধ্যে বিভাজনকারী রেখাটি কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে যায়নি, যায়নি দুটি শ্রেণীগোষ্ঠীর মধ্য দিয়ে, যায়নি দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে – গিয়েছে প্রতিটি মানব হৃদয়ের মধ্য দিয়ে – এবং গিয়েছে সকল মানব হৃদয়ের মধ্য দিয়ে”
এর অর্থ ভাল শিশু আর মন্দ শিশু, ভাল মানুষ আর মন্দ মানুষ আলাদা করা অবান্তর, অসফল, নির্বোধ প্রচেষ্টা। চেষ্টা করতে হবে যাতে সকল মানুষের হৃদয়ের অশুভ অংশ পরাজিত হয়, শুভ ভাবের জয় হয়, যে হতাশা তাকে অসৎ করে তোলে তাকে পরাস্ত করতে পারে আশা জাগানীয়া সৎ কর্ম এবং উৎসাহ। স্কুলে দোকান করে শিশুদের স্বাভাবিক আবেগীয় প্রেষণাকে অসৎ আখ্যা দেওয়া নিরেট নির্বুদ্ধিতা ও ভবিষ্যত সততার পথ বন্ধ করার আত্মঘাতী হ্যান্ড গ্রেনেডিং।
আলবেয়ার কাম্যু তার 'দি প্লেগ' উপন্যাসে লিখেছেন “এই পৃথিবীর সকল অপকর্ম প্রায় সবসময় হয় অজ্ঞতা থেকে, এবং শুভ ইচ্ছা অশুভ তৎপরতার মতই ক্ষতি করতে পারে যদি সেটা জ্ঞানের আলোকে আলোকিত না হয়ে থাকে। বেশীরভাগ মানুষই খারাপ না ভাল সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কিন্তু তারা বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে কিনা সেটা দিয়েই নির্নিত হয় কাজটি মন্দ নাকি ভাল। সবচেয়ে জঘন্য কাজ হলো, যে সেটি করছে সে হয়ত মনে করছে সে সব জানে, কিন্তু পরিশেষে দেখা যায় যে কাজটি করতে গিয়ে সে মানুষ হত্যাকে সিদ্ধ করেছে। হত্যাকারীর অন্তর অন্ধ, কোন বিষয় সম্পর্কে সর্বোচ্চো পরিষ্কার দৃষ্টি না থাকলে সত্যকার ভালমানুষিকতা বা নিস্বার্থ মানব প্রেম খোঁজা অবান্তর।”
শুধু বিদ্যালয়ে নয়। আজ পত্রিকায়, টেলিভিশনে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, গৃহে, অফিসে সামাজিকতায় বেশিরভাগ তথাকথিত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক উন্নলম্ফনে যারা নিজ যোগ্যতার চেয়ে কয়েকগুন বেশী আয় আজকাল ঘরে তোলেন, তারা নিজেকে আদর্শ ও সৎ ভেবে অপরকে অসৎ ও ত্যাজ্য করার আত্মঘাতী খেলায় নেমেছেন কারন তাদের অবচেতন মন আসলে তাদের এই অতি উপার্জনকে অসততা হিসাবে ধরে নিয়েছে। এর সাথে আছে যারা বিদেশে আরামদায়ক সুবিধাবাদের সুযোগ নিয়ে সুখে নিরাপদে আছে তারাও।
এরা সবাই ভুগছে অবচেতনের অপরাধবোধে। এটিকে ঢাকতেই তাদের এই হ্যান্ড গ্রেনেডিং। যার ফল হচ্ছে তাদের হৃদয় অশুদ্ধ অপরিণত থেকে যাওয়া। তাদের উচিৎ তাদের উপার্জিত টাকা মানুষের কল্যানে আরও বেশী ব্যায় করা। সামাজিক মাধ্যমে মনগড়া দুর্নীতিবাজদের গালি না দিয়ে সেই সময়টুকু অন্য মানুষের জীবন উন্নয়নে ব্যয় করা। সেটিও না পারলে উচিৎ পথে বের হয়ে পড়া। মানুষকে দেখা। তারা যাদের গালি দিচ্ছে, তাদেন জীবনকে কাছে থেকে দেখা। তখন যদি তারা বোঝে যে তারা নিজেরা এর চেয়ে ভাল কিছু নয়। এর সাথে আয়নার সামনে প্রতিনিয়ত দাঁড়ানো, এতে যদি সেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি মেলে।