EN
আরও পড়ুন
ধর্ম ও দর্শন
গ্লোবালিস্টদের উদ্যোগ ও সহায়তায়
গবেষণা
বহুকাল দারিদ্র ও অপুষ্টিতে ভোগা সমাজের হঠাৎ ধনী হয়ে যাওয়া
রাজনীতি
মিয়ানমার নিয়ে বিপজ্জনক খেলা
রাজনীতি
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর হুমকি
রাজনীতি
JadeWits Technologies Limited
ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার

ইনটার্নালাইজেশন অব লাভ কালচার

মধুবালা কনস্ট্রাক্ট

ভোর বেলা বের হয়ে এক টানে প্রায় দেড়’শ কিলোমিটার পেরিয়ে চলে এলাম রাজধানীর নিকটবর্তী এক শহরে। ওরই একটা কাজ ছিল একটা অফিসে একটা কাগজ নিতে হবে সই করে। আমকে বলছিল একা যেতে চায় না, আমি যাব কিনা। আমি বললাম বাইকে গেলে যাব, নইলে না। শুনে চিৎকার করে উঠল “বাইকে...এ... এ... দারুণ হবে”। ওর কাজটা সেরে আমরা ঘুরে বেড়ালাম নদীর ধারে। এরপর পাশেরই একটা রেস্তোরায় দুপুরের খাবার খেয়ে রওয়ানা দিলাম। আমরা দুজন বেরোলে কোথা দিয়ে যেন দিনটা ফুরিয়ে যেত। বাড়িতে ফেরার সময় দুজনেরই মনে হত আবার কোথাও একটু বসি। এরকম অনেকবার হয়েছে যে রেস্টুরেন্ট খেয়ে দেয়ে গল্প করে ফেরার পথে আর একটা রেস্তোরায় আবার আমরা বসেছি। আমাদের আলাপগুলো যে প্রেমিক প্রেমিকাদের মত আলাপের মত হত তা ঠিক নয়। হত একেবারেই দৈনন্দিন আলাপ, সময়ের ঘটনা, নিজেদের জীবনের নৈমিত্তিক আলাপ এগুলো।

প্রায় তিন’শ কিলোমিটার বাইক রাইড করে যখন আমরা ফিরছি, বনানী ফ্লাইওভারে ওঠার আগেই কোমর থেকে হাতটা সরিয়ে আমার ডান কাঁধ ধরে ঝুঁকে এসে আমার কানের কাছে বলল চলেন আইসক্রিম খাই। ফ্লাইওভারে না উঠে থামলাম আইসক্রিম খেতে। বাইকে এত গতীতে ও এত দুর ভ্রমণ ওকে যে থ্রিল দিয়েছে সেটার অ্যাড্রিনিলিন এখনও রয়ে গেছে ওর দেহে। উৎফুল্ল উত্তেজিত এবং ভিভিশিয়াস।

বিকেলের সোনা রোদে সেই মুহুর্তে ওকে দেখতে এতই মোহনীয় মনে হচ্ছিল যে আমি অনুভব করলাম লিটারেলি আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমার মনের ভেতরে কি হচ্ছে সেটা মনে হয় ও দেখতে পেল। আমার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে গেল, বলল কি হল? আমি বললাম তোমাকে এক সুন্দর লাগছে যে এটা এই দেশ না হলে তোমাকে এখনই দুহাতে জড়িয়ে নিয়ে চুমু খেতাম। ওর চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল, কপট অবাকের ভঙ্গীতে বলল এই খানে? আমি বললাম এখানে তে আর সম্ভব না, পাওনা থাকল।

অনভিজ্ঞদের ধারনা একটি মেয়ে সুন্দরী হলেই সে পুরুষের মনে ঝড় তোলে। আবেগের সংযোগ না থাকলে আবেগের ভাব বিনিময় না হলে সেটা অসম্ভব সুন্দরী নারীও শুধুই একটি গ্রাফিক্যাল অবজেক্ট হিসাবে রয়ে যায়। আবার অনেকে ভাবে যৌন আকর্ষণই সব। কিন্তু সেটা তো ভিন্ন একটি আবেগ। যেটা একটি নির্দিষ্ট ইচ্ছাপুরণেই সীমিত। নারী পুরুষের সম্পর্কের বিস্তীর্ণ স্পেকট্রামে সেটা একটি বিশেষ রং মাত্র যেটি একটি চরম আনন্দের লক্ষ্যে চাপের উদ্ভব ও বিলুপ্তী যেটা টেসস্টোসটেরন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরনের কাজ। সেটা কখনই আবেগের আকর্ষণের সেই অক্সিটোসিনের জেট ফুয়েলে দুজনে আকাশে ওড়া নয়।

হয়ত মনে হতে পারে এই শ্বাস বন্ধ হওয়া, এই ভাল লাগা এই কথায় ডুবে থাকাই প্রেমে পড়া। আসলে কিন্তু এটা প্রেমের দরোজা মাত্র। এই দরজা খুলে গেলে সেটা দিয়ে ঝাঁপ দিতে হয় প্রেমের সাগরে। কিন্তু এই দরোজার ওপারে প্রেমের সাগর আছে নাকি এক মহাশূন্য নাকি খর মরুভূমি – সেটা বুঝেই ঝাঁপ দিতে হয়।

কিছু কিছু মেয়ে আছে তারা এতই আকর্ষনীয়া যে দু-একজন নয়, যারা তাকে দেখে তাদেরই শ্বাস বন্ধ না হলেও হৃৎকম্পন শুরু হয়। আবার বলছি, এটা শুধু চেহারা বা দেহের সৌন্দর্য নয় – এগুলোর সাথে অতিরিক্ত কিছু। তেমনই এক নারী ছিল মধুবালা। সহ শিল্পী শাম্মি কাপুর মধুবালা সম্পর্কে বলেছিল “আমি যখন রেল কা ডিব্বা ছবিতে কাজ করতে গিয়ে মধুবালাকে দেখি, আমার মনে হলো আমার উপর বজ্রাঘাত হল। আমি তার থেকে চোখ সরাতে পারি না, আমার কথা বন্ধ হয়ে যায়, আমি ডায়ালগ বলতে পারি না, যদিও আমি যথেষ্ট আত্মসচেতন ও কনফিডেন্ট মানুষ”। শাম্মি কাপুর আরও বলে “মধুবালা ঠিকই জানত আমার মনে কি ঘটে চলেছে”। সেই মধুবালা আট বছর প্রেম করেছিল দিলিপ কুমারের সাথে, বিয়ে করতে চেয়েছিল দিলিপ কুমারকে। সেটা হয়নি।

কেন হয়নি? বাজারে এই না হওয়া নিয়ে অনেক কথা আছে, তাদের ধর্মের বিভেদ, মধুবালার পিতা আতাউল্লাহ খানের মধুবালা দিলিপ জুটিকে নিয়ে একছত্র চলচিত্র ব্যবসার শর্ত ইত্যাদি। তবে এগুলো সব বাইরের কথা। ভেতরের কথা ভিন্ন। দিলিপ কুমার ছিল শান্ত, ধীর স্থির এবং সামাজিক আবেগীয় দিক থেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তি। দিলিপ কুমার বুঝেছিল দরোজার ওপারে মরুভূমী। দিলিপ কুমারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সে মধুবালার প্রেমে পড়েছিল কি না। দিলিপ কুমার জবাব দিয়েছিলেন “অবশ্যই আমি তার প্রতি আকর্ষিত ছিলাম”।

সমাজে আমরা একটি সাংস্কৃতিক কনস্ট্রাক্টের মধ্যে বাস করি। সেই কনস্ট্রাক্ট প্রজন্মগত অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের চিন্তা ও আচরণের একটি ফ্রেমওয়ার্ক ঠিক করে দেয়। যেটার উপর ভিত্তি করে আমাদের মানসিকতা ও মুল্যবোধ গঠিত হয়। যেটাকে বলা হয় ইনটার্নালাইজেশন অব কালচার। যেমন কোন সমাজে শিশুরা কেমন আচরণ করবে সেটার জন্য কোন পুস্তক ট্রেনিং বা আইনগত নির্দেশিকা নেই। অথচ আমরা সবাই জানি শিশুদের কোন আচরণগুলো স্বাভাবিক আর কোনগুলো নয়। যখন শিশু থেকে একটা মানুষে পরিণত হয় সে পুরুষ হলে একটা বিশেষ কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্ক তার জন্য প্রযোজ্য হয়। সে নারী হলে গ্রহণ করে ভিন্ন আর একটা কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্ক। এই ভিন্নতার কারণ নারী ও পুরুষের চিন্তাপ্রক্রিয়া, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতার সাথে সমাজের খাপ খাওয়ানো। ঠিক তেমনই যখন আমরা যুগল হিসাবে বাস করি, সেটা বিয়েই হোক বা লিভ টুগেদার, তখন সেটার জন্যও ভিন্ন একটা কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্ক আমরা গ্রহণ করে থাকি।

এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো এবং সেটা চেতন অবচেতন মনে গ্রহণ বা ইনটার্নালাইজেশন আসলে প্রজন্মান্তর থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা থেকে চিন্তা ও আচরণে জীবন ও সমাজে নিরাপদ ও সফলভাবে বাস করার অগ্রিম প্রস্তুতি। শিশুজীবন থেকে পরিণত একাকী জীবন ও সেটা থেকে পরিণত যুগল জীবন, এর সাথে শিশু লালনপালন সহ পারিবারীক জীবন এই চারটা কাল আসলে চিন্তা, আচরণ ও সামাজিকতায় চারটা প্যারাডাইম শিফট বা মৌলিক পরিবর্তন। কোন বাইশ বছরের যুবক যদি বারো বছরের আদর্শ কিশোরের মতও আচরণ করে তাহলে সেটা অস্বাভাবিক আচরণ। ঠিক তেমনই যুগল জীবনে যারা একাকী জীবনের এককেন্দ্রীকতা থেকে বের হতে পারে না, তারাও অস্বাভাবিক।

এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো কেউ কাউকে প্রত্যক্ষভাবে শিখিয়ে দেয় না। এগুলোর ইনটার্নালাইজেশন অর্থাৎ অন্তরে গ্রহণ করে আচরণে প্রকাশও স্বয়ংক্রিয় চেতন অবচেতন পর্যবেক্ষণের দ্বারা চালিত হয় এবং ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান অনুসারে সেটা বিকশিত হয়। শিশু বয়স থেকে বিভিন্ন কারণে যারা এই অবচেতন পর্যবেক্ষণের প্রতি মনোযোগী নয়, তারা এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো সম্পর্কে অজ্ঞ এবং তাদের এই ইনটার্নালাইজেশন হয় না। জীবনের পথে বিভিন্ন অবস্থায় তাদের শুধুই অভিনয় করে খাপ খাইয়ে চলতে হয়।

এই খাপ খাইয়ে চলা যদি অনিয়মিত বা স্বল্প সময়ের জন্য হয়, তাহলে ব্যক্তি নিজের উপর তৈরী হওয়া চাপ স্বাভাবিক করার সুযোগ পায়। কোন নারী পুরুষের একে অপরের সাথে আনন্দপূর্ণ সময় কাটানো এমনকি সেটা যদি নৈমিত্তিক শারিরীক সম্পর্ক সহও হয়, তখনও এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো সম্পর্কে অজ্ঞ যারা তারা জীবনকে উপভোগ করতে পারে। এমনকি যারা এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো ধারণ করে তারাও সময়টা উপভোগ করে। কিন্তু যারা এই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের সাথে যদি লিভ টুগেদার বা বিয়ের মত যুগল জীবনযাপন করতে হয়, সেটা একটা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। যুগল জীবনে প্রবেশ করার অর্থই চিন্তা, আচরণ ও সামাজীকতায় একটি প্যারাডাইম শিফট। যেখানে দুটো মানুষের একটা মেন্টাল সিনক্রোনাইজেশন প্রয়োজন।

বিষয়টা অনেকটা এরকম যে কেউ অভিভূত হল হিমালয়ের চুড়ায় এক পর্বত আরোহীকে দেখে বা চাঁদের মাটিতে মানুষকে হাঁটতে দেখে। তার সাধ হল সে এভারেস্টে যাবে বা চাঁদের মাটিতে হাঁটবে। টুরিষ্ট হিসাবে আরামদায়ক আয়োজনের অংশ হিসাবে অ্যাডভেঞ্চারের আবেগে স্বল্প সময়ের জন্য কষ্টকর পর্বতাহোরণ বা স্বল্প গ্র্যাভিটিতে অসুবিধাজনক স্পেস স্যুট পরিধান হয়ত সে উপভোগ করবে। কিন্তু হিমালয়ে বা চাঁদে যদি তাকে বাস করতে হয় বাকীটা জীবন, তাহলে সেটা তার কাছে ভয়ংকর। কিন্তু তখন কি হতে পারে যখন জুটিবদ্ধ দুজনের একজন সেই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো ধারণ করে এবং তার ইনটার্নালাইজেশন হয়েছে কিন্তু আর একজন সেগুলো ধারন করে না বা সেগুলো ইনটার্নালাইজ করেনি?

আমি মেয়েটাকে বললাম: “তো এভাবে কতদিন চলবে? আমার সাথে ঘুরে বেড়িয়ে মহা আনন্দে দিন চলে যাচ্ছে। দিনে চব্বিশ ঘন্টায় আমাকে অন্তত আটচল্লিশ বার ফোন কর বা মেসেজ পাঠাও। কোনকিছু আমার ভাবনা ছাড়া কর না। বিয়ে হলে তো সব বন্ধ”।
মেয়েটা বলল: “কখনই না। আপনি এমনই থাকবেন। এখন রাত হলে আম্মু ক্যাটক্যাট করে, তখন তো আর সেটাও করতে পারবে না”।
আমি বললাম: “তোমাকে না দেখতে আসার কথা ছিল”।
মেয়েটা বলল: “এসেছিল, না করে দিয়েছি, ছেলে বুড়া”
আমি বললাম: “তো কি হয়েছে, আমিও তো আরও অনেক বুড়া, আমার সাথে যদি এত ভাল সময় কাটে তাহলে সমস্যা কি”?
মেয়েটা বলল: “আপনি আলাদা”
আমি বললাম: “তোমার কি একটা পিকচার পার্ফেক্ট জামাই লাগবে যাতে সবাইকে দেখাতে পারো”।
মেয়েটা বলল: “এসব আপনি বুঝবেন না”।
আমি বললাম: “একটু আগে যেটা দিতে চেয়েছিলাম সেটা সেটা শুধু অবিবাহিতের জন্য প্রযোজ্য”
মেয়েটা বলল: “লাগবে না”
আমি বললাম: “রাগ তো ঠিকই হচ্ছে দেখা যাচ্ছে”

আট বছরের প্রেমে মুধুবালাই বেশী উৎসাহী ছিল দিলিপের চেয়ে। নিজের হেয়ারড্রেসারকে দিয়ে একটি লাল গোলাপ ও একটা ভালবাসার নোট পাঠায় মধুবালা দিলিপকে। দিলিপও বিনময়ে প্রকাশ করে তার আকর্ষণ। মজার কথা হলো একই সময়ে একই হেয়ারড্রেসারকে দিয়ে আর একটি লাল গোলাপ ও হুবহু একই ভালবাসার নোট পাঠায় মধুবালা আর এক উঠতি নায়ক প্রেমনাথকে। প্রেমনাথও একই রকম বিনিময় নোট পাঠায়। দিলিপ ও প্রেমনাথ একটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় এবং পরস্পর জানতে পারে কিভাবে তাদের উভয়কে বোকা বানিয়েছিল মধুবালা। দিলিপ কুমার বুঝেছিল মধুবালার মধ্যে সেই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কের অভাব।

তাই এযাবত দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সুন্দরীদের একজনের প্রতি আকর্ষিত থাকলেও মধুবালার দুয়ার পর্যন্তই সে ছিল, দ্বিধান্বিত থাকলেও সেটা পার হয়নি। বিয়েতে দিলিপের প্রত্যাখ্যানে ক্ষুব্ধ মধুবালা রাগে তখনকার হিট হিরো কিশোর কুমারকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কে অজ্ঞ একই মানসিকতার কিশোর সাথে সাথে সেটা লুফে নেয়। কিন্তু বিয়ের পর পরই সম্পর্কটা যেন দোজখে পরিণত হয়। এমনই তিক্ত সে সম্পর্ক যে এর কিছুদিন পর মধুবালার প্রাণঘাতী হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে ও অল্প বয়সে মধুবালার অকাল মৃত্যু পথযাত্রায় স্বামী কিশোর ছিল অনুপস্থিত।

যেটা বলছিলাম, তখন কি হয় যখন জুটিবদ্ধ দুজনের একজন সেই কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো ধারণ করে এবং তার ইনটার্নালাইজেশন হয়েছে কিন্তু আর একজন সেগুলো ধারন করে না বা সেগুলো ইনটার্নালাইজ করেনি? তখন যে ব্যক্তি কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলো ধারণ করে, হয় তাকে বাস্তবতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে জীবনযাপনে, চিন্তায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। অর্থ, ক্ষমতা অথবা আর কোন নেশায় তাকে বুঁদ হয়ে জীবন কাটাতে হয়। আর সেটা যদি সে করতে না চায় তাহলে তাকে মানসিক সুস্থতা হারাতে হয়।

কনস্ট্রাক্ট ফ্রেমওয়ার্কহীনদের সাথে পেশাগত কাজ ফলপ্রসু হতে পারে, তাদের সাথে সময় কাটানো অনেক সময় ভীষণ আনন্দের, তাদের সাথে নৈমিত্তিক যৌন সম্পর্কও হয়ত আনন্দের হতে পারে কিন্তু তাদের সাথে একত্র বাস – সেটা লিভ টুগেদারই হোক বা বিয়ে – সেটা শুধু মানুষের সুস্থ চিন্তা, মন ও ব্যক্তিত্বই ধ্বংশ করে না, সেটা ধ্বংশ করে প্রজন্মান্তরে প্রবাহীত মানসিক সুস্থতা বা স্যানিটি। তার ফলেই তৈরী হয় এমন প্রজন্ম যারা আর বাস্তবে বাস করে না। তারা বাস করে ধারণায়। জীবন হয়ে ওঠে অসহ্য।

JadeWits Technologies Limited
সর্বশেষপঠিতনির্বাচিত

আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করি। আমাদের কুকি নীতির শর্তাবলী জানার জন্য অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন। কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মত হলে, 'সম্মতি দিন' বাটনে ক্লিক করুন।