৪ এপ্রিল, ২০২৫, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার বিশ্বব্যাপী প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের এক দিন পরের ঘটনা। ন্যাটো সদর দপ্তর ব্রাসেলস, বেলজিয়াম, মার্কিন পররাষ্ট্র সেক্রেটারি মার্কো রুবিও সভা শেষ করে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন।
সেক্রেটারি রুবিও শুরু করলেন: “ঠিক আছে, চলুন শুরু করি। আমার কাছে কোনো বিবৃতি নেই। আমরা সরাসরি সাক্ষাৎকার পর্বটা সেরে ফেলি”।
প্রশ্ন: “মাননীয় সেক্রেটারি, প্রশ্ন নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কূটনীতি নির্ভর করে অনুমানযোগ্যতা, নির্ভরযোগ্যতা আর বিশ্বাসের উপর। বিশ্বজুড়ে বাজার দ্বিতীয় দিনের মতো ধসে পড়ছে। সবাই একমত যে প্রেসিডেন্টের শুল্ক বাড়ানো প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ছিল, আর এটা এমন অর্থনৈতিক সূত্রের উপর ভিত্তি করে যা মানুষ বোঝে না। আপনার প্রতিক্রিয়া কী, আর এটা ইউরোপীয়দের উপর কী প্রভাব ফেলবে? আপনি চান তারা প্রতিরক্ষায় আরও বেশি খরচ করুক—”
সেক্রেটারি রুবিও: “হ্যাঁ”।
প্রশ্ন: “—যেটা তারা অবশেষে মেনে নিচ্ছে, কিন্তু তাদের অর্থনীতি যখন ধসে পড়ছে, তখন তারা কীভাবে এটা করবে? আর এখন তারা—”
সেক্রেটারি রুবিও: “না, তাদের—না, না, না, না, না—না, তাদের অর্থনীতি ধসে পড়ছে না। বাজারগুলো—”
প্রশ্ন: “কিন্তু ধসে পড়ছে তো”।
সেক্রেটারি রুবিও: “না, তাদের অর্থনীতি ধসে পড়ছে না। তাদের বাজারগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় একটা বড় পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। ব্যাপারটা খুব সোজা। ধরুন, আপনি একটা কোম্পানি চালাচ্ছেন, আর আপনার অনেক পণ্য চীনে তৈরি হয়। হঠাৎ যদি শেয়ারহোল্ডাররা বা স্টক মার্কেটে খেলা লোকেরা বুঝতে পারে যে চীনে উৎপাদনের খরচ অনেক বেড়ে যাবে, তাহলে আপনার কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজার—যতক্ষণ তারা জানে ভবিষ্যতে নিয়মগুলো কী হবে—আর যদি সেটা স্থির থাকে আর আপনি আপনার অবস্থান টিকিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে বাজার নিজেকে ঠিক করে নেবে। বিশ্বজুড়ে ব্যবসা, বাণিজ্য আর গ্লোবাল ট্রেডে, তাদের শুধু নিয়মগুলো জানতে হবে। একবার নিয়ম জানা গেলে, তারা সেই নিয়মের সাথে মানিয়ে নেবে।
তাই আমার মনে হয় না অর্থনীতি ধসে পড়ছে বলাটা ঠিক। বাজার ধসে পড়ছে কারণ বাজার কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যের উপর নির্ভর করে, যারা আজ এমন উৎপাদন পদ্ধতিতে জড়িত যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খারাপ। আমাদের এমন একটা দেশ হতে হবে যেটা—আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজার, অথচ আমরা শুধু সেবা রপ্তানি করি। এটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের সেই সময়ে ফিরতে হবে যখন আমরা জিনিস তৈরি করতে পারতাম, আর সেটা করতে হলে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে হবে”।
প্রশ্ন: “হ্যাঁ, কিন্তু—স্যার, এটা একটা লম্বা ....। আর আমার প্রশ্নের অন্য অংশ—”
সেক্রেটারি রুবিও: “দেখুন, সবচেয়ে খারাপ হবে এটাকে চিরকাল এভাবে রেখে দেওয়া। আমি বলতে চাই, এটা আর চলতে পারে না। আমরা এমন একটা দেশ হয়ে থাকতে পারি না যারা কিছু তৈরি করে না। আমাদের জিনিস তৈরি করতে হবে আমেরিকানদের জন্য চাকরি সৃষ্টি করতে। আমরা—ব্যস, এটাই; এটা এতটাই সোজা। চীন একটা উদাহরণ। আমি বলতে চাই, এটা অবিশ্বাস্য। তারা কিছুই ভোগ করে না। তারা শুধু রপ্তানি করে, বাজারে প্লাবন বইয়ে দেয় আর বাজার বিকৃত করে, তার উপরে তারা যত শুল্ক আর বাধা বসিয়ে রেখেছে। তাই প্রেসিডেন্ট ঠিকই বুঝেছেন যে বর্তমান গ্লোবাল ট্রেডের অবস্থা আমেরিকার জন্য খারাপ আর অনেকের জন্য ভালো, আর তিনি এটাকে নতুন করে সাজাবেন। আর তিনি এটা করা একদম ঠিক”।
মার্কিন পররাষ্ট্র সেক্রেটারি মার্কো রুবিও যেটা বলেছেন সেটা সত্য। আমেরিকার অর্থনীতিতে ম্যানুফ্যাকচারিং (উৎপাদন শিল্প) বনাম ফিনান্সিয়াল ও অন্যান্য সার্ভিস (সেবা খাত) এর অনুপাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এক’শ বছর আগে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন শিল্প ও বনাম ফিনান্সিয়াল ও অন্যান্য সার্ভিসের অনুপাত প্রায় ১:১ ছিল সেটা এখন ১:৮। যার অর্থ অর্থনীতি বা জিডিপির বেশিরভাগ অংশ ডেরিভিটিভ বা স্পেকুলেটরদের মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর ভিত্তি করে চলে। সেটাই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার রিসেট করতে চাইছে। বাংলাদেশে বিয়ের যে অবস্থা আমেরিকার অর্থনীতির সেই অবস্থা। এটা নিয়ে কোভিডের পর পর আমার এক বান্ধবীর সাথে আলাপে বলেছিলাম।
রাতে ঘুম নিয়ে আমার কোন সমস্যা হয় না এবং মাঝ রাতের আগেই বিছানা নেবার চেষ্টা করি। সেদিন কেন যেন একটু দেরি হয়ে গেল মাঝ রাতে অচেনা নম্বর থেকে ফোন। ফোনের বিষয়ে আমি বাঙালী নই, বিদেশী। অপ্রয়োজনে খুব বেশী ফোনে কথা বলা আমার কখনই ভাল লাগে না যদি না কথাটা কাজের, আরোচনার বা সম্পর্কটা রোমান্টিক কিছু না হয়। প্রথমবার ধরলাম না। আবার এল ফোনটা।
ফোনটা ধরতেই ঝাঁঝালো কন্ঠ মেয়েটারঃ জেগে তো আছেন, ফোন ধরেন না কেন?
আমি বললামঃ অচেনা নাম্বার থেকে এত রাতে ফোন, দ্বিতীয়বারে যে ধরেছি এটাই তোমার মহা ভাগ্য
মেয়েটা বললঃ এটা নতুন নাম্বার, সেভ করে রাখেন
আমি বললামঃ রাখলাম “গভীর রাতে বিরক্তকারী” নামে
মেয়েটা বললঃ যা খুশি রাখেন
আমি বললামঃ এখন বল এত রাতে কি?
মেয়েটা বললঃ ঝাঁঝটা নামিয়ে স্বরটা মধুর করে বলল আপনি না তাড়াতাড়ি ঘুমান, মেয়েদের সাথে নাকি চ্যাট করেন না, এত রাতে তাইলে ফেসবুকে কি করেন?
আমি বললামঃ বুঝলাম কোন আবদার আছে, খ্যাপানোর জন্য বললাম নতুন করে চ্যাট শুরু করতেও তো পারি, আমার ইচ্ছা, তোমার আপত্তি আছে?
মেয়েটা বললঃ হ্যাঁ তা তো করতেই পারেন, আপনি স্বাধীন মানুষ, এই কারনেই তো বিয়ে করেন না
আমি বললামঃ মানুষ চ্যাট করার জন্য বিয়ে করে না এটা তোমার মনে হয়?
মেয়েটা বললঃ না, চ্যাটে কি থেমে থাকে, স্বাধীন মানুষেরা তো যা খুশি তাই করতে পারে
আমি বললামঃ তাহলে তুমিও কর, নিষেধ করেছে কে?
মেয়েটা বললঃ আমি তো আর আপনার মত স্বাধীনও না, মনে আপনার মত বদ ইচ্ছাও নাই
আমি বললামঃ খুব ভাল, বল এত রাতে কি ঝগড়া করার জন্য ফোন করেছ?
মেয়েটা বললঃ চলেন কালকে ঘুরতে যাই, বাসায় বন্দী হয়ে দম বন্ধ হয়ে আসছে,
আমি বললামঃ মাথা খারাপ, এখন তোমার সাথে ঘুরতে গিয়ে পৈত্রিক জীবনটা হারাই।
মেয়েটা বললঃ আমরা মাস্ক পরে থাকব, লোকজন আছে এমন কোথাও থামব না
আমি বললামঃ তেমার থেকে যে আমার সংক্রমণ হবে না তার গ্যারান্টি কি
মেয়েটা বললঃ আমি সুস্থ, আমি বাইরে যাই না এক মাস হল
আমি বললামঃ পরিবারের লোক থেকেও তো তোমার হতে পারে
মেয়েটা বললঃ উফ পরিবারের সবাই সুস্থ
আমি বললামঃ সোশ্যাল ডিসট্যানসিং – নো ঘুরাঘুরি
মেয়েটা বললঃ জানতাম আপনি একটা অসম্ভব ভীতু লোক
আমি বললামঃ হ্যাঁ আমি খুব ভীতু
মেয়েটা বললঃ বিশ্বাস করেন এই বাসায় বন্দী আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি, আর বাসার যে অবস্থা
আমি বললামঃ কেন বাসায় কি হয়েছে?
মেয়েটা বললঃ আরে আব্বুর সাথে ঝগড়া করে ভাইয়া লাপাত্তা, আম্মুর টেনশন
আমি বললামঃ ও
মেয়েটা বললঃ সেটা নিয়ে এখন আব্বু আম্মু ঝগড়া, এইসব ভাল্লাগেনা
আমি বললামঃ কেন তুমি তো মধ্যস্থতাকারী হতে পার, সবাইকে বোঝাও দায়িত্ব নাও, সংসার করা শিখতে হবে না? এত বিয়ে বিয়ে কর, বিয়ে মানেই তো সংসার করতে হবে, এখন থেকে শেখ
মেয়েটা বললঃ পারব না
আমি বললামঃ ঝগড়া কি নিয়ে?
মেয়েটা বললঃ আরে আপনি তো জানেন ভাইয়ার একটা গাড়ি আছে, সেটা এখন বন্ধ, সে এখন গাড়ি বিক্রি করে দেবে। তেলের দাম কমেছে, বন্ধুরা মিলে তেলের কি ব্যবসা করবে, আব্বু রাজী না
আমি বললামঃ আসলে তোমার ভাইটা আসলে অনেক বুদ্ধিমান
মেয়েটা বললঃ এই বাড়িতে সবাই পাগল
আমি বললামঃ তুমি হাল ধর, বিয়ে শাদি করে একটা ঘরজামাই আন, পরিবারের দায়িত্ব নাও
মেয়েটা বললঃ ফালতু, আপনি নিজে করেন
আমি বললামঃ আমি তো প্রতি বছর একটা করে করতে চাই কিন্তু বিয়ে এখন অনেক এক্সপেন্সিভ
মেয়েটা বললঃ প্রতি বছর একটা করা লাগবে না, আগে একটা করেন, আর এক্সপেন্সিভ মানে? আপনার কি টাকার অভাব আছে?
আমি বললামঃ খরচ কি শুধু টাকায় হয়? আবেগ খরচ হয়, সময় খরচ হয়, আশা খরচ হয়, ইচ্ছা খরচ হয় কিন্তু বিনিময় যা পাওয়া যায় সেটা শূন্য এমন কি উল্টো দায়ী হতে হয়, অপরাধী হতে হয়, পরাজিত ও ব্যর্থ এই মানসিকতা নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে হয়।
মেয়েটা বললঃ এখন মনে হচ্ছে আপনিও পাগল
আমি বললামঃ বিয়ের চুক্তি এখন ক্রুড অয়েলের ক্রয় চুক্তির মত – দাম ডেরিভেটিভ, বিয়ের আগে অনেক বেশী, পরে নেগেটিভ
মেয়েটা বললঃ মানে?
আমি বললামঃ টেক্সাসে ক্রুড অয়েলের দাম এখন নেগেটিভ সেটা শুনেছ?
মেয়েটা বললঃ শুনেছি কিন্তু বুঝিনি, তেল কিনলে কি উল্টো টাকা পাওয়া যাবে?
আমি বললামঃ তোমার ইন্টারে কি সায়েন্স ছিল?
মেয়েটা বললঃ হ্যঁ ছিল কেন?
আমি বললামঃ ডেরিভেটিভ কি মনে আছে?
মেয়েটা বললঃ হ্যাঁ ক্যালকুলাসের ডেরিভেটিভ
আমি বললামঃ ইকনামিক্সে আর একটি ডেরিভেটিভ আছে
মেয়েটা বললঃ সেটা কি?
আমি বললামঃ কোন কিছুর আসল মুল্যের ভিত্তিতে চুক্তি না হয়ে মার্কেটের হাবভাব, চাহিদা বা ট্রেন্ড বুঝে পার্সেপশনের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য কল্পিত মুল্যে বিনিময় চুক্তি
মেয়েটা বললঃ যেমন?
আমি বললামঃ সাধারণত কোন উৎপাদিত বস্তর বিনিময় মুল্য নির্ধারিত হয় তার উৎপাদন খরচ এবং লাভের যোগফল
মেয়েটা বললঃ ঠিক
আমি বললামঃ কিন্তু ধর কোন কিছুর চাহিদা প্রচন্ড বাড়ছে, তখন যে হারে চাহিদা বাড়ছে মুল্যটা উৎপাদন খরচ বা আসল মুল্য সাপেক্ষে না হয়ে চাহিদা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়, যেমন ক্রুড অয়েল।
মেয়েটা বললঃ বুঝি নাই
আমি বললামঃ ক্রুড অয়েল খনি থেকে তুলতে যে খরচ হয় তার সাথে লাভ যোগ করার পর যে দাম হয় তার থেকে বিক্রয় মুল্য অনেক বেশী
মেয়েটা বললঃ হুজুগে শেয়ার ব্যবসার মত
আমি বললামঃ কিছুটা - ধর তোমরা ষোল বন্ধু মিলে একটা করে ফ্ল্যাট কিনতে চাও। এখন যে যায়গাটা তোমরা চয়েস করলে ঐ স্থানে জমির দাম আসে দুই কোটি। সেই হিসাবে ফ্ল্যাটের দাম হয় ধরা যাক ১ কোটি। ধর ফ্ল্যাটটি বানাতে পাঁচ বছর সময় লাগবে। জমির যে চাহিদা তাতে ঐ জমির দাম পাঁচ বছর পর ১০ কোটি হবে। এখন তোমরা চুক্তি করতে গেলে ডেভোলপার জমির দাম দশ কোটি ধরেই ফ্ল্যাটের হিসাব করবে।
মেয়েটা বললঃ হুম, সে ফ্ল্যাট ডেলিভারির সময়কার দামটা ধরে রাখবে
আমি বললামঃ ঠিক। এখন ধর ডেলিভারির আগেই তোমরা তোমাদের ফ্ল্যাটগুলো তোমাদের অন্য ষোল জন বান্ধবীদের কাছে আরও লাভ ধরে বিক্রি করে দিলে সেই ভবিষ্যতের দামের উপর ভিত্তি করে।
মেয়েটা বললঃ তারপর?
আমি বললামঃ তারপর কোভিডের কারনে ধরা যাক জমির দাম অনেক কমে গেল
মেয়েটা বললঃ তখন জমির দাম নেগেটিভ হয়ে যাবে
আমি বললামঃ হ্যাঁ, নতুন মালিকেরা মিলে ঐ জমিটা বিক্রির চিন্তা করলে ভর্তুকি দিতে হবে
মেয়েটা বললঃ বুঝলাম আপনার মাথায় অনেক বুদ্ধি, এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমান কিভাবে?
আমি বললামঃ আসল জিনিষের মুল্যের ভিত্তিতে দাম না ঠিক হয়ে চাহিদার সম্ভাব্যতায় বা স্পেকুলেটরদের মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর ভিত্তি করে যে চুক্তি হয় সেটাকে বলে ডেরিভেটিভ ইন্সট্রুমেন্ট অব কনট্রাক্ট
মেয়েটা বললঃ মাঝরাতে আমাকে এই ইকনামিক্সের লেসন দেবার উদ্দেশ্য কি
আমি বললামঃ বিয়ের পাত্রীদের এখন বিয়ের আগে মার্কেট সেন্টিমেন্ট অনেক হাই, বিয়ের পরে একদম লো
মেয়েটা বললঃ মানে বিয়ে এখন ইকনামিক্সের ডেরিভেটিভ হয়ে গেছে?
আমি বললামঃ ঠিক তাই, ভ্যাল্যু বিয়ের আগে সুপার হাই, বিয়ের পরে নিগেটিভ।
মেয়েটা বললঃ বুঝলাম আপনি খুব উঁচু লেভেলের একটা বদ। গুড নাইট।