EN
আরও পড়ুন
রাজনীতি
পলিটিক্যাল সিস্টেমস থিংকিং এর শিক্ষা
রাজনীতি
JadeWits Technologies Limited
সাহিত্য ও সংস্কৃতি

আন্তন চেখভের ১২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে

সুখহীনতা মানুষদের মধ্যে একতা আনে না বরং তাদের বিভক্ত করে...

"গভীরভাবে অসুখী মানুষেরা আত্মম্ভরি, নীচ, অবিবেচক, নিষ্ঠুর এবং একে অপরকে বোঝার ক্ষেত্রে নির্বোধদের চাইতেও কম পারদর্শী। সুখহীনতা মানুষদের মধ্যে একতা আনে না বরং তাদের বিভক্ত করে...।"   -আন্তন চেখভ  

আমি যখন প্রথম পারিবারিক নিবাস ছেড়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকার চিন্তা করলাম, তখন আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক উপার্জনশীল পুরুষ যার কোন অসামাজিকতার বা অপরাধের রেকর্ড নাই, তবুও বাধাটা ছিল চারিদিক থেকে। প্রথমটা হলো নিজের বাড়ি তারপর বাড়িওয়ালারা। আমার কথাবার্তা থেকে পরিচয় এবং পেশা জেনে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোন সংশয় ছিল না,  কিন্তু প্রায় সবারই শঙ্কা ছিল আমি নানা রকম মেয়েদের নিয়ে একা বাড়িতে যদি ফুর্তি করি? এই শঙ্কা পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের ভেতরেও ছিল এক নম্বরে যদিও আলাদা বাড়িতে যাবার কারণ মোটেও নারী বা ফুর্তি ছিল না কারণ তার আগেই আমার মেয়ে বন্ধুরা ছিল এবং তাদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগের কোন অভাব অনুভব করিনি। 

উত্তরায় এক বিচারপতির কথা মনে আছে, খুব সুন্দর একটা বাড়ী ছিল, বাড়িওয়ালাও কথাবার্তায় খুশি, তারপর সিংগেল শুনেই যেন ভীত শংকিত হয়ে গেলেন। তখন আমার মনে প্রশ্ন এল কেমন বিচার করেন তিনি আদালতে? আমি খুব অবাক হয়েছিলাম যে বিবাহিত এবং বয়ষ্ক এই সব নারী পুরুষেরা যখন দেখেছে এক একাকী তরুণ আলাদা থাকতে চাইছে, সবকিছু ছাপিয়ে ৯৫% এর মনে হয়েছে মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করাই লক্ষ্য। অথচ আমি তখন পারিবারিক বাসা থেকে আলাদা হতে চেয়েছি শুধুই আমার একাকী কিছুটা আধুনিক জীবনযাপনের পদ্ধতির সাথে প্রথাগত পরিবারের সাথে যে ছোটখাট দৈনন্দিন সংঘাত, সেটি থেকে একটু দুরে থাকতে। পরিবারের লোকজনকে আমার জন্য কোন ভার বা অসুবিধা সইতে না হয় যেন তার জন্য। এখন বুঝি সেই সব বয়ষ্ক বিবাহিত নারী পুরুষের মধ্যে যেটা ছিল তা হলো যৌন ঈর্ষা বা জিঘাংশা অথবা তাদের নিজেদের জীবনের সমস্যার প্রতিফলন। প্রাত্যহিক জীবন যাপনে আমাদেরই আশেপাশের মানুষেরা যে লজ্জাজনক হীনতা আর কূপমুণ্ডুকতায় ডুবে আছে, এই ঈর্ষা বা জিঘাংশাগুলো তারই ফলাফল।

আমি যে বন্ধুমহলে মিশি, কখনও কখনও সেই বন্ধুমহলেই কোন মেয়ের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা বা প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। আমি আমার মেয়ে বন্ধুকে নির্দ্বিধায় কোন বন্ধুর সাথে কখনো কখনো এক ঘরে রেখে বাইরে চলে গোছি সারা দিনের জন্য। আমার মনে কখনও কোন সন্দেহ দানা বাধেনি। এমনই এক বহু দিনের বন্ধু যে আমার কোন মেয়েবন্ধুর সাথে বছরের পর বছর কাজে, আড্ডায় আমি ছাড়া একাকী থেকেছে। সেই বন্ধু যখন তার নারী সহকর্মীর সাথে প্রেম করে বিয়ে করল, তখন আমাকে তার নতুন বাসায় দাওয়াত দিল। আমি সেখানে গেলে দেখলাম নতুন বউ নানা রকম পোলাও কোর্মা রান্না করেছে। বাইরে ভীষণ রোদ ছিল সেদিন। আমি কিছুটা পরিশ্রান্ত ছিলাম। আমরা যখন খেতে বসতে উদ্যত তখন তার স্ত্রী আমার বন্ধুকে ডেকে বলল ঘরে কি যেন নাই, আনতে হবে। আমার বন্ধু বলল সে এখনই নিয়ে আসছে। এরপর সে পোশাক পরে আমার কাছে এল। তারপর সে আমাকে বলল তার সাথে যেতে। আমি না চাইলেও সে আমাকে না নিয়ে বাসা থেকে বের হল না। আমি খুবই অবাক হলাম কারন বন্ধুপত্নি নতুন কেউ নয় যে আমারও পরিচিত বহুদিনের। অনেক পরে বুঝেছি যার মনে বিশ্বাস নেই, তাকে শত বিশ্বাস করলেও সে তার প্রতিদান দিতে পারে না।

আমি যখন প্রথম আলাদা বাসায় থাকি তখন আমার কোন মেয়ে বন্ধু আমার বাসায় না থাকলেও কখনও কখনও আমার কোন বন্ধু সস্ত্রীক কোন ডিনারে এলে কখনও রাতটা থেকে গিয়েছে। এমনই এক জুনিয়র বন্ধু তার স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাসায় ছিল যাদের দুজনকেই স্নেহের চেখে দেখি। পরদিন সকালে নাস্তার সময় দেখা গেল আমি যে নাস্তা খাই – কর্নফ্লেক্স বা মুসলি, সেটা সে খেতে পারবে না কারন যাতে তার এলার্জী। আমি বললাম আমার তাড়া আছে। ফ্রিজে ডিম, বাটার  আছে কিন্তু ব্রেড নাই। বাসার সামনেই দোকান, একটু নিয়ে এসে তোমরা খেতে পার। ছেলেটা বাইরে না গিয়ে দেখলাম মেয়েটাকে ডেকে তুলল। তারপর মেয়েটাকে সাথে নিয়ে তারপর ব্রেড আনতে গেল। এবার আর আমি অবাক হলাম না যেহেতু আমি জানি মানুষ এগুলো কেন করে কিন্তু তার প্রতি সেই স্নেহটুকু চলে গেল। পরে জেনেছি এই ছেলেটি তার এক আত্মিয় ছোট বোনকে সেক্সুয়ালী অ্যাবিউজ করত। যারা ভদ্র এবং মেধাবী, তাদের মধ্যেও এই সন্দেহ আর নীচতার যেন কোন শেষ নেই। বন্ধুর মা ছেলের বউয়ের জন্য সন্দেহ করেছে। বান্ধবী তার মায়ের জন্য সন্দেহ করেছে, বন্ধু তার মায়ের জন্য অনিরাপদ বোধ করেছে।

আসলে এইসব নীচতা, হীন সন্দেহ আর অবিশ্বাস কোন কারণ বা ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে আসে না, এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির আভ্যন্তরীণ সমস্যা। নিজেদের জীবন যাদের হতাশা, ব্যর্থতা, হীনমন্যতা আর নেতিবাচক আবেগে যাদের মনোজগতের গভীর অন্তস্থল গঠীত, তারাই এই লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতার দাস হয়ে থাকে। সাজানো-গোছানো সুন্দর দেখতে যাদের জীবন, নানা রকম দক্ষতা আর অ্যাচিভমেন্ট অর্জন করে তারা সেই শুন্যতা পুরণের ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকে।  

এইসব নীচতা, হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতা থেকে দুরে থাকতে আমার ক্ষুদ্র জীবনে আমি অনেক কিছু ছেড়ে এসেছি। প্রিয়তমাদের ছেড়ে এসেছি যারা শ্বাস প্রশ্বাসের মত ছিল। নিকট বন্ধুত্ব ত্যাগ করেছি যাদের প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করতাম। শিক্ষালয় ছেড়ে এসেছি যেখানে জ্ঞান ও শিক্ষা আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের একটি বিষয় ছিল। ছেড়ে আসার কারণ আমাদের প্রায় সব শিক্ষকরাই নীচতা, হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতায় নিমজ্জিত। লাভজনক ব্যবসা ছেড়ে এসেছি কারণ দিনে দিনে সেগুলো এখানে নীচতা, হীনতার দোজখে পরিণত হচ্ছে। লেখক সমাজ, পত্র পত্রিকা, সাংস্কৃতিক জগত ছেড়ে এসেছি, যেগুলো একসময় মুক্ত ও বিশুদ্ধ ছিল, এখন সেগুলো নীচতা, হীনতার আখড়া। যে যত প্রতিশোধপরায়ণ অশিক্ষিত আবেগপ্রবণ এখন, যে মানুষের মধ্যে নীচতা, হীনতা জাগিয়ে তুলতে পারে, সে তত বড় সেখানে এখন। এই ছেড়ে আসা নিয়েও নীচতা, হীনতা কূপমুণ্ডুকতার কোন শেষ নেই। সবাই যেন এই ছেড়ে আসাকে আমার ব্যর্থতা হিসাবে দেখে। তারা কি জানে, আমি কেন ছেড়ে চলে যাই? আমার সাহস আছে, সামর্থ আছে, আত্মসম্মান আছে তাই আমি ছেড়ে চলে যাই।       

আমার প্রিয়তম রাশিয়ান লেখক, কবি আন্তন চেখভ এই নীচতা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী লিখেছেন। ম্যাক্সিম গোর্কি চেখভ সম্পর্কে বলেছেন: "আন্তন পাভলোভিচের মতো এতো সুন্দর করে জীবনের সূক্ষ্ম ট্র্যাজেডি ধরতে পারেনি কেউ। প্রাত্যাহিক জীবন যাপনে মানুষের মধ্যে যে লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতা ছড়িয়ে আছে তার করুণ চিত্র এর আগে কেউই এতো নির্মমভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। তার শত্রু ছিল নীচতা। সারাজীবন তিনি এর বিরুদ্ধে লড়েছেন, ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছেন। তীক্ষ্ম লেখনীতে এর ছবি এঁকেছেন, এমনকি যেখানে সবকিছু সাজানো-গোছানো সুন্দর তার মাঝেও তিনি নীচতার ছায়া খুঁজে বের করতে পারতেন”। 

তাদের নিজেদের জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে নীচতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতায় যারা নিমজ্জিত তারা কখনও নীতি আর আদর্শে একতাবদ্ধ হতে পারে না। কারন নীতি আর আদর্শ জন্ম নেবার মত গোছালো মনোজগত আসলে তাদের মগজে নেই। নীতি আর আদর্শকে তাই তারা সদা সন্দেহের চোখ দেখে। ভাবে এগুলো কারও রাজনৈতিক চাল। নিজের সুযোগ সুবিধা আর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলেই তারা শুধু ভীতির আবেগে একতাবদ্ধ হয় আর তখন দাবী করে এক ইউটোপিয়ান শুদ্ধতা যেটা অবাস্তব। 

পীত দানবের পুরী গ্রন্থে  ম্যাক্সিম গোর্কী সেই ১৯০৬ সালে বলেছেন "আবেগে একতাবদ্ধ জনতা কেবল অনুভব করে, কেবল দেখতে পায়। কিন্তু তার মনের ওপর যে ছাপ পড়ে তাকে সে চিন্তায় রূপ দিতে পারে না। তার আত্মা মূক, হৃদয় অন্ধ।" 

অবাক ব্যাপার যে আধুনিক সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও নিউরোসাইন্স সেই একই কথা বলছে। আমাদের ব্রেন তিনটি ফাংশনে বিভক্ত; একটি নিরাপত্তার শঙ্কাজনিত কার্যাবলী (reptilian function), তারপর আবেগজনিত কার্যাবলী (limbic function), ও শেষে মানবিক চিন্তা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কার্যাবলী (neo-cortex). নিরাপত্তার শঙ্কা আর আবেগ যাদের সর্বদা ডমিনেট করে, তাদের মানবিক চিন্তা সংক্রান্ত কার্যাবলী অপরিণত, এলোমেলো হয়।    

বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক বা সামাজিক মনোবৈজ্ঞানিক বিষয়ে আমি যখন আমার বিশ্লেষণগুলো উপস্থাপন করি, তখন কাছের দুরের অনেক লোক আমি কি বলছি সেটা না বুঝে আমাকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে হেয় করার চেষ্ট করে। এটি করতে গিয়ে তারাই কিন্তু তাদের হীন কূপমুণ্ডুকতা প্রকাশ করে ফেলে। সে ভাবতেই পারে না যে দলবাজীর যে সমীকরণে সে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাচ্ছে সেই দলবাজী তার জন্য অবধারীত পথ হলেও, একজন বিশ্লেষণকারীর চিন্তার পথ ভিন্নও হতে পারে। যুক্তি বিশ্লেষণ বুঝতে না পেরে অনেকে তো প্রশ্নই করে বসে যে আমি কোন পক্ষে।  

মেয়েদের নিয়ে খোলামেলা কথা যখন লিখি, অনেকেই ভাবে আমি বোধ হয় নারী বিদ্বেষী, সমালোচক, নারীদের হেয় করতেই লিখি। অনেকে আবার মনে করে থাকে তার উল্টোটা, যে সিংগেল মানুষ, মেয়েদের নিয়ে ঘোরাফেরা ফুর্তি করেই বেড়াই। আসলে আমি মানুষের মধ্যে চেখভের সেই যে লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতাগুলো দেখতে পাই। মেয়েদের মধ্যে সেটা বেশি চোখে পড়ে, যেমন মেয়েরা মাতাল হলে সেটা বেশী দৃষ্টিকটু লাগে, কারণ আমরা তাদের সবসময় সম্মান করে চলতে চাই।      

এই হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতা থেকে বের হতে না পারলে কোন মানুষের জীবন শুধু নয়, পুরো সমাজই নিরাপত্তাহীন হয়ে যায়। তারই উদাহরণ যেন সেই আন্তন পাভলভিচ চেখভের শেষ পরিণতি। মেকি শহুরে শিক্ষিত জীবনের সবকিছু যে সাজানো-গোছানো সুন্দর তার মাঝেও যিনি নীচতার ছায়া খুঁজে বের করতে পারতেন, সেই নীচতাও চালাকি করে পরিশেষে তাঁর ওপর প্রতিশোধ নিয়েছিল। একজন লেখক, একজন কবি আন্তন চেখভের মৃতদেহ তাই ঝিনুকের মালগাড়ীতে করে মস্কোয় চালান গিয়েছিল। গোর্কী লিখেছেন “আমার মনে হয় যেন সেই নোংরা সবুজ ঝিনুকের ওয়াগন ক্লান্ত শত্রুর ওপর নীচতার এক বিজয়োল্লাস। আর কাগজের অসংখ্য স্মৃতিকথার কপট শোকপ্রকাশ... এসবের অন্তরালে আমি অনুভব করি সেই একই নীচতার শীতল দুর্গন্ধ, শত্রুর মৃত্যুতে যেটা উল্লসিত।" 
চেখভ নিশ্চিত ছিলেন গভীর অসুখী মনই ওইসব হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতার কারণ। তাই তিনি লিখে গেছেন: 
"গভীরভাবে অসুখী মানুষেরা আত্মম্ভরি, নীচ, অবিবেচক, নিষ্ঠুর এবং একে অপরকে বোঝার ক্ষেত্রে নির্বোধদের চাইতেও কম পারদর্শী। সুখহীনতা মানুষদের মধ্যে একতা আনে না বরং তাদের বিভক্ত করে...।"  

চেখভের সময়ের দেড়’শ বছর পর আজ আমাদের সমাজও গভীরভাবে অসুখী এবং টাকা, পদ আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রাণপন চেষ্টা করছি ওইসব হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতা ঢেকে রাখতে, কিন্তু সেটা কখনই সম্ভব হয় না। সেগুলো ঢেকে রাখতে সরকার রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে পুলিশ সামরিক দমন নিপীড়ন নির্ভর। জেল জরিমানা মৃত্যুদন্ড গুম খুন বেড়ে চলেছে গুণিতক হারে। সরকার ও রাষ্ট্রের এই দমন নিপীড়ন নীতি সমাজকে আরও গভীরভাবে অসুখী করবে। করবে ভীত, সংকিত, আতঙ্কিত। ওইসব হীনতা আর লজ্জাজনক কূপমুণ্ডুকতা থেকে বের হতে গেলে প্রয়োজন সবার আরও বেশী সুখী হওয়া। টাকা, পদ, ক্ষমতা আর উন্নয়নে নেশাগ্রস্থ হওয়া নয়। সুখী হতে গেলে প্রয়োজন একটি মুক্ত স্বাধীন সহনশীল সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার। আমরা দ্রুতবেগে চলছি বিপরীত পথে কারণ অর্থ-দাপট-ধর্ম আর উন্নয়নের লেবাসে আমরা ক্রমেই গভীর অসুখী জাতীতে পরিণত হচ্ছি দিনে দিনে।

আজ ১৫ই জুলাই চেখভের ১২১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। 

JadeWits Technologies Limited
সর্বশেষপঠিতনির্বাচিত

আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করি। আমাদের কুকি নীতির শর্তাবলী জানার জন্য অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন। কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মত হলে, 'সম্মতি দিন' বাটনে ক্লিক করুন।