শবে বরাতের রাত। রাত বারোটায় ফোন। ফোন করেই প্রথম কথা “কাল ঘুরতে যাব, অনেক দুরে। কয়টায় বেরোবেন? হেলমেট নিয়ে বের হয়েন। কাপাশিয়ার ঐ রেস্টুরেন্টটায় ব্রেকফাস্ট করব। আমি খাওয়াব”। ফোন রিসিভ করে আমি হ্যালো বলার আগেই এক নিশ্বাসে বলে গেল। ফোনটা রং নাম্বারে যেতে পারে অথবা আমার কোন কাজ থাকতে পারে অথবা অন্য কিছু – কিন্তু কোন পরোয়া নেই, সেগুলো কোন বিষয়ই না।
ওর যা ইচ্ছা, দুনিয়া সেভাবেই চলবে এটাই স্বাভাবিক বা নর্ম বলে ওর ধারণা এবং আশ্চর্য বিষয় হল দুনিয়া যেন অনেকটা যেন সেভাবেই চলছে। আমার কাছে মনে হয় ও যখন খুশি মনে কিছু করে তখন যেন দুনিয়াটা স্বর্গে পরিণত হয়। আনন্দ আর আবেগের দ্যুতি যেন ওর থেকে বিচ্ছুরিত হতে থাকে এবং ওর আশে পাশে যারা থাকে তাদের মধ্য সেই বিকিরণ একটি ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে যেটা তাদের তেজ ও উদ্যমের সাথে জীবন নির্বাহের প্রেরণা যোগায়। আমি নিশ্চিত ও সেটা জানে, এবং জানে বলেই সে আমার মতের কোন তোয়াক্কাই করে না।
শত কাজ থাকলেও আমি যে তার সাথে সময় কাটানোটাকেই বেশি গুরুত্ব দেব সেটা আমিও জানি তবুও ওর আত্মবিশ্বাসে নাড়া দেবার জন্য
আমি বললাম: “বললাম কাল যাওয়া হবে না, কাজ আছে”
মেয়েটা বলল: “রাখেন আপনার কাজ, সব কিছু আপনার ইচ্ছায় চলে, পরে করবেন কাজ”
আমি বললাম: “না, কাল যাওয়া যাবে না”
কিভাবে যেন ও বুঝে যায় যে আমি সিরিাস না;
বলল: “কাল সাতটায়, আগের যায়গায়, এক মিনিটও দেরী করবেন না, অসহ্য লাগে”, বলে ফোন কেটে দিল।
আমরা দুজনই সময়ের দিক থেকে খুব সচেতন। হয়ত দুজনেই আবার দেখা হবার মুহূর্তের অধীর অপেক্ষায় থাকি, অথবা হয়ত দুজনের কেউই একসাথে থাকার সময়টুকু এক মিনিটও নষ্ট হতে দিতে চাই না তাই সময় সম্পর্কে খুব সচেতন। সকালে বাইক নিয়ে মিনিট পনেরো আগেই পৌছে গেলাম। দেখি ও এখনও আসেনি। আমি বাইকটা নিয়ে পরিকল্পিত মিটিং পয়েন্ট থেকে একটু দুরে দাঁড়ালাম। সাতটা বাজার দুই মিনিট আগে দেখলাম একটি রিকশা এল এবং ও রিকশা থেকে নামছে। আমি হিরোর মত তখন বাইকটা নিয়ে ওর পাশে গিয়ে থামলাম। আমাকে দেখেই মুখে সেই অদ্ভুত সুন্দর হাসি।
আমি বললাম: “বাহ, আজকে এত সেজেগুজে, চমৎকার দেখাচ্ছে কিন্তু”
মৃদু লাজুকতায় হেসে বলল: “কই?”
তারপর আমার হাত থেকে দ্বিতীয় হেলমেটটা নিয়ে পরে উঠে পড়ল বাইকের পিলিয়ন সিটে। আমার ডান কাঁধের উপর আলতোভাবে হাতটা রেখে বলল: “চলেন”।
ও এই “চলেন” শব্দটা ও এত মধুর কর বলে। এবং এটা যেন শুধু একটি শব্দ নয়, এটা যেন একটা ‘সম্মতি’, একটা অনুমতি যে আমি এগিয়ে যেতে পারি, আমরা যাত্রা শুরু করতে পারি, এই নশ্বর, নানা ঝামেলা জটিলতার দুনিয়াকে পেছনে ফেলে দুজনের একটা একান্ত স্থান-কালে যেখানে শুধু হাসি, আনন্দ আর মধু অনুভূতি আমাদেরকে সিক্ত করে রাখে।
ওর এই উচ্ছল চোখে চওড়া হাসি মুখে ‘চলেন’ থেকে ঐ দিন বিদায়ের আগে মৃদু হাসির ছোট্ট করে ‘বাই’ বলা পর্যন্ত আমরা থাকি সেই পরাবাস্তবতার স্থান-কালে যেখানে আমরা দুজন দুজনের সেরাটি অপরকে দিতে চাই সবটুকু নিংড়ে মনের আনন্দে। দুরে রাখি একে অপরকে বাকি দুনিয়ার স্বার্থ ক্ষমতা ও বিষাদ বিষন্নতার বাস্তবতা থেকে, সেটা সাময়িক যে এটা জেনেও।
হেমন্তের স্নিগ্ধ সকাল, চমৎকার আবহাওয়া, ছুটির দিন, রাস্তা ফাঁকা। আমার ডান কাঁধে ওর হাতের উষ্ণতাটার রেশ হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতেই আমরা পৌঁছে গেলাম কাপাশিয়ার চৌরাস্তার কাছে রোস্তোরাটায়। বাইকটা পার্ক করে আমরা ভেতরে ঢুকলাম। একটা টেবিল পছন্দ করে বসার সাথে সাথেও ও উঠে পড়ল। বলল ওয়াশরুম থেকে আসছি। এটি বলার সাথে সাথেই ওর একটি ফোন এল। টেবিলের পাশে দাঁড়িয়েই ও ব্যাগটা থেকে ফোন বের করে রিসিভ করল।
আমার দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল দিয়ে এক মিনিট ইশারা করে ও ডানদিকে একটু ঘুরে কথা বলা শুরু করল। মৃদু স্বরে কথা, আমি বুঝতে পারলাম না কে ফোনের অপর পাশে। তবে মনে হল জরুরী কিছু হবে। টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় ওর বাম হাতটা টেবিলের উপর রাখল। আঙ্গুলগুলোর উপর ভর দিয়ে আমার দিকে কিছুটা পেছন ফিরে। আমার সামনে খুব কাছে ওর হাতটা।
টেবিলের উপর রাখা আমার দুটো হাতের পাশেই ওর হাতটা। মুগ্ধ হয়ে আমি চেয়ে রইলাম ওর হাতটার দিকে। ওর পরেন সাদা কামিজ, সাদা এমব্রয়ডারির কাজ করা। তার উপরে সাদা ওড়না একই রকম কাজ করা। আর নিচে গাঢ় সবুজ সালোয়ার। কানের দুলের স্টোনগুলো একই গাঢ় সবুজ আর একই গাঢ় সবুজ সবগুলো নখের নেইল পলিশগুলো। হাতে সাদা রঙের দুটো পাথরের বালা, তার সাথে গাঢ় সবুজ এক গোছা করে চুড়ি।
নখগুলো লম্বা করে রাখা। নখের মাথাগুলো একটু সোজা করে কাটা। নখ থেকে শুরু করে ওর আঙুলগুলো স্লিম, লম্বাটে কিন্তু অপুষ্ট বা শীর্ণ নয়, পরিপুষ্ট কিন্তু স্থুল নয়। আমার আঙুলগুলোও লম্বা, স্লিম, কিন্তু ওর আঙুলগুলোর মত এত সূশ্রী নয়। আমার আঙুলগুলো যেন কারখানায় ছাঁচে তৈরী কয়েকটি লম্বা সিলিন্ডার শেপের, আর ওরগুলো যেন ফরাসী কোন ডিজাইনারের করা সিগনেচার আর্টপিস। নখ থেকে আঙুলগুলো হাতের তালুতে যেখানে মিশেছে সে পর্যন্ত সেটা কনিক্যাল শেপের। মানে নখের ওখানে যে ব্যাস তার থেকে ক্রমেই সামান্য ব্যাস বৃদ্ধি পেয়ে সামান্য কোন শেপে ধীরে বেশী ব্যাসের হয়ে সেটা তালুতে মিশেছে। অদ্ভুত সুন্দর একটা শেপ।
হাতের তালু ও পিঠ পেলব, মসৃণ কিন্তু স্থুল নয়। আমার হতের মত লোম, শিরা দৃশ্যমান নয়। হালকা কনিক্যাল যে আঙুলগুলো হাতে মিশেছে সেখানে, সেটা যেন আর এক শিল্পকর্ম। পুরো হাতটা লম্বাটে নয়। হাত ও আঙুলগুলো মিলে সুন্দর কিছু কার্ভ। ঐ হাতটি ধরা, সেটাতে চুমু খাওয়ার ইচ্ছা সেটা ভিন্ন আবেগের বিষয়। কিন্তু অবাক বিষয় হল সেই আবেগের জন্য হাতটির এতটা ফরাসী ডিজাইনারদের ডিজাইন না হলেওতো চলত।
কেন ওর হাতটা এত সুন্দর? ঈশ্বর যদি তার নিজের অনুকরনে পুরুষ তৈরী করেন তাহলে আমি পুরুষ আমার হাত অমন নয় কেন? নারী পুরুষ উভয়ের হাতইতো অমন হতে পারত। নিশ্চই ওর পূর্বসূরীদের বংশ পরাম্পরায় পুরুষদের নারীদের প্রেমে পড়া, ভাল লাগা ও পুরুষ আবেগের পছন্দের বিষয়টা কাজ করেছে নারী হাতকে এমন মনমুগ্ধকর হতে। ওর হাত ক্রিয়েশন নয়, শরীরগত বা সোমেটিক সৌন্দর্যের সিলেকশন - এটা অন্তত নিশ্চিত।
এমন সময় ওর ফোনে কথা বলা শেষ হয়ে গেল। ও দেখল আমি ওর হাতের দিকে তাকিয়ে আছি। ফট করে হতটা টান দিয়ে বলল: “কি দেখেন, এত মনোযোগ দিয়ে দেখার কি আছে?”
আমি বললাম: “তোমার হাত দেখি, খুব সুন্দর, সরিয়ে নিলা কেন? আবার হাতটা আনতো, দেখি”
মেয়েটা বলল: “না, হাত দেখা লাগবে না, আপনি পাম রিডার নাকি?”
আমি বললাম: “আনো না, হাতই তো, আর একটু দেখি”
মেয়েটা বলল: “না”, বলে বলল “ওয়াশরুম থেকে আসি”
ওয়াশরুম থেকে ফিরে আসার পর:
আমি বললাম: “বল, আল্লাহর কাছে কি চাইলা কাল, নামাজ পড়ে”
মেয়েটা বলল: “চাইলাম, একটা বিশেষ কিছু”
আমি বললাম: “কি সেটা”
মেয়েটা বলল: “বলা যাবে না”
আমি বললাম: “সেই চাওয়ার মধ্যে আমি আছি?”
মেয়েটা বলল: “সেটাও বলা যাবে না”
আমি বললাম: “কি, আশ্চর্য্য”
মেয়েটা বলল: “আমি যেটা চাই, সেটা পাই”
আমি বললাম: “আরে, তাই নাকি? আমার জন্য কিছু চেয়ে দাও না”
মেয়েটা বলল: “বলেন কি লাগবে”
আমি বললাম: “তোমার হাত”
মুহূর্তের জন্য অবাক হয়ে বলল: “মানে?”, তার পর বুঝতে পেরে মৃদু লাজুকতা ছুঁয়ে গেল চোখে, ঠোঁটে, বলল “ফাজলামী রাখেন”
আমি বললাম: “আসলেও”
মেয়েটা বলল: “ক্ষুধা লেগেছে, আসেন খাবারের অর্ডার দেই”
অর্ডার দেবার পর নাস্তা এল পরোটা, ডিম, ভাজি ও ডাল গোস্ত। খেতে খেতে আমি বললাম: “রাতে অনেক ক্ষণ জেগে ছিলা নাকি?”
মেয়েটা বলল: “হ্যাঁ”
আমি বললাম: “বুঝেছি, বড় চাওয়া তাহলে”
মেয়েটা বলল: “আপনি এসব বুঝবেন না, আপনিতো এখন বেদ-উপনিষদ নিয়ে বেশি ব্যস্ত”
আমি বললাম: “কেন? বেদ-উপনিষদ ওগুলো পড়ব না?
মেয়েটা বলল: “আচ্ছা আপনি যে বলেন, বেদ উপনিষদ মতে যে ঈশ্বর, সেটা নাকি একজনই?”
আমি বললাম: “হ্যা, ব্রহ্ম – চূড়ান্ত জ্ঞান সত্তা”
মেয়েটা বলল: “আমাদের আল্লাহ’র মত”
আমি বললাম: “ঠিক আল্লাহ’র মত নয়”
মেয়েটা বলল: “মানে?”
আমি বললাম: “বেদ উপনিষদ মতে যে ব্রহ্ম, যে চূড়ান্ত জ্ঞান সত্তা, যেটা ইরানের প্রাচীন ধর্ম জরথুস্ত্রবাদে যে ঈশ্বর, যার নাম “আহুরা মাজদা” যার অর্থ "সর্বজ্ঞানস্বামী", তার সাথে মিল আছে।
মেয়েটা বলল: “মানে?”
আমি বললাম: “আমাদের প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে যে ‘জ্ঞান’ ক্ষমতা, মানে জ্ঞান বোঝা, জ্ঞান অর্জন, জ্ঞান ধারণ ও জ্ঞান প্রয়োগের যে ক্ষমতা, ধর সেগুলো যদি সব একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকত, দুনিয়ার সকল প্রাণীর, জগতের সকল কিছুর সম্মিলিত ও সংযুক্ত জ্ঞান ধারণ করে যে একক স্বত্ত্বা, তিনিই ব্রহ্ম”
মেয়েটা বলল: “আর আমাদের আল্লাহ কি তাই নন?”
আমি বললাম: “সেটাতো তুমিই ভাল জান, রাতে কত কিছু না চাইলা?”
মেয়েটা বলল: “আবার?,যা জানতে চাচ্ছি সেটার জবাব দেন”
আমি বললাম: “আমাদের আল্লাহ এককভাবে এক ও সর্বশক্তিমান, সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু এই সর্ব প্রাণীর জ্ঞান সংযোগের বিষয়টি সেই ধারণায় মুখ্য নয়”
মেয়েটা বলল: “ও”
আমি বললাম: “তিনি একজন আছেন, সাত আসমানের উপরে যিনি নিজের মত করেই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, সেটাতে প্রাণ দিয়েছেন, মানুষের জন্য এই দুনিয়া ও সকল প্রাণী সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে কিছু নিয়ম কানুন, নির্দেশ দিয়েছেন, একদিন তিনি শেষ বিচার করবেন এবং বিচার অনুযায়ী বেহেশত বা দোজখে পাঠিয়ে দেবেন”
মেয়েটা বলল: “হ্যাঁ, এটা বুঝলাম, খুব পরিষ্কার, কিন্তু ‘ব্রহ্ম’ জিনিষটা বুঝলাম না, তিনি কি দেবতা? তার কি পুজা করা হয়?”
আমি বললাম: “না, ‘ব্রহ্ম’ একটি বিমূর্ত ধারণা, ব্রহ্ম, বা ‘চূড়ান্ত জ্ঞান সত্তা’, যিনি সৃষ্টির সবকিছুর যে বস্তুগত, গুণগত, ব্যবহারিক ও অন্তিম কারণ, সেই কারনগুলো কার্যে পরিণত করে নানা দেবতা”
মেয়েটা বলল: “ও, অনেক কঠিন বিষয়”
আমি বললাম: “হ্যাঁ, ক্রমেই এই কঠিন ধারণা মানুষ বুঝতে পরছিল না বলে পরবর্তীতে একই ধারণা সরল করে রামায়ণ মহাভারত ইত্যাদি মহাকাব্যের মাধ্যমে পাত্র পাত্রীদের ডায়ালগ হিসাবে প্রচারিত হয়েছে, যেটাই আধুনিক হিন্দু ধর্ম”
মেয়েটা বলল: “আর ইসলাম ধর্ম”
আমি বললাম: “ইসলাম ধর্ম এসেছে ইব্রাহিমীয় ধর্মগুলোর পথ ধরে। ইহুদি, খ্রীষ্টান ও ইসলাম এই তিন ধর্মের আল্লাহ এক এবং ধর্মের যে দর্শন, যে পৌরণিক কাহিনী, যে সৃষ্টিতত্ত্ব, যে ঘটনাপ্রবাহ, সবই প্রায় এক, সামান্য কিছু ভিন্নতা ছাড়া।”
মেয়েটা বলল: “তাহলে এই তিন ধর্মের মধ্যে এত মারামারি কাটাকাটি যুদ্ধ কেন?”
আমি বললাম: “সমস্যা মানুষে, ধর্মে নয়, মানুষ ধর্মকে পরিবর্তিত করে নেয় নিজেদের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য”
আলোচনাটা দর্শনের কাটখোট্টা দিকে যাচ্ছিল তাই আমরা যেন সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। সময়, পরিবেশ যেন সেই তাত্বিক আলোচনার নয়।
খেতে খেতে আমি ভাবছিলাম রাতে হয়ত অনেক কান্নাকাটি করে ও কিছু চেয়েছে। আমি জানি মনে মনে ও যেমন গভীর আবেগপ্রবণ, ও ততটাই ধার্মিক। পোশাকে আশাকে ফ্যাশনে, কথায়, আমার সাথে ঘোরাঘুরি যতই করুক না কেন, যতই আধুনিক হোক না কেন, অন্তরে সে গভীর বিশ্বাসী। ও বিশ্বাস করে যে তার প্রার্থনা কেউ শুনছেন। হয়ত ও ভাবে আমি নশ্বর মানুষ হয়ে যেভাবে মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনি, সাত আসমানের উপরের মহান, বিশাল অন্তর্যামী কেউ নিশ্চই ওর কথা আরো গভীর ভাবে শেনেন এবং একদিন ওর ইচ্ছা ঠিকই পুরণ করবেন। এটি ভাবতে ভাবতে ওর প্রতি তাকিয়ে কেমন একটা মায়া জন্মে। মনে হয় আহারে, কি অসহায় আমরা এক একটা মানুষ। কিছুই না জেনে বিশ্বাস করে বসে থাকি যে মনের আশা পূর্ণ হবে। হয়ত হবে। কেইবা নিশ্চিত জানে।
লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে, বাকি অংশ আগামীতে।