গত পর্বে লিখেছিলাম চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং চীনকে ঘায়েল করার জন্য আমেরিকার কৌশলকে অকেজো করার জন্য মালাক্কা প্রণালীর একটি বিকল্প পথ হল মিয়ানমার চীনের পাইপলাইন। এরই প্রতি-কৌশল হল এই অঞ্চলে অরাজকতা সৃষ্টি করে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে চীন বিরোধী মার্কিন স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা। সেটা হলে ভারত তার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে পড়বে। সেটা আবার পাকিস্তানের ভারত বিরোধী সিআইএ-আইএসআই এর কৌশলের পক্ষে যাবে। সেটা অকেজো করতে ভারত চায় বাংলাদেশ চীন ভারত মিয়ানমার (BCIM) ইকনমিক করিডোরের বাস্তবায়ন। যার ফলে তাদের “চিকেন নেক” এর বিক্ল্প আবার তারা তৈরি করতে পারবে। আমাদের পদ্মা সেতু এই সংযোগের অংশ। যার উপর দিয়ে ভারত করিডোর চেয়েছিল। যেটা আমেরিকা চায় না, কারণ সেটা তার চীন ঠেকাও নীতিকে দুর্বল করবে। সেটা পাকিস্তানও চায় না, কারণ সেটা তাদের পূর্ব দিকে ভারত বিরোধী কৌশলকে অকেজো করবে। সেই কারণেই বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করেছিল, দুর্নীতির জন্য নয়। সেই কারণেই আমেরিকার ভূরাজনৈতিক বন্ধু ড: ইউনুস পদ্মা সেতুর বিরোধী ছিলেন।
কিন্তু এটি এই অঞ্চলের জটিল রাজনীতি ও ভূরাজনীতির অনেকগুলো মাত্রার একটি মাত্রা মাত্র। রাজনীতি হচ্ছে একটি বহুমাত্রার জগৎ। এক মাত্রার কার্য কারণ দিয়ে সেটাকে বোঝা যাবে না। প্রতিটি একক মাত্রা হচ্ছে সেই বহুমাত্রার এক একটি প্রক্ষেপন বা প্রজেকশন, অনেকগুলো প্রক্ষেপন একসাথে ফেলে মূল বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে হয়। আমার আলোচনার জটিলতর পরবর্তী অংশ বুঝতে গেলে আরো তিনটি প্রক্রিয়া বা প্রসেস সম্পর্কে পাঠককে জানতে হবে। এর প্রথমটি হল 'প্রতিক্রিয়ার কৌশল', দ্বীতিয়টি 'রাজনীতির বহুমাত্রিকতা' এবং তৃতীয়টি হল 'রাজনীতির অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ' বোধ বা রিয়ালাইজেশন।
প্রতিক্রিয়ার কৌশল:
রাজনীতি হচ্ছে কৌশল ও প্রতিকৌশলের খেলা। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন পাড়ার একটি মেয়েকে দেখে আপনার ভাল লেগে গেল। আপনি তার ফোন নম্বর চান। আপনি কেতাদুরস্ত হয়ে তার কাছে গিয়ে তার ফোন নম্বর চাইলে কি সে দেবে? কিন্তু যদি আপনি একটি কৌশল বা স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন যেমন আপনি আপনার কিছু দুষ্ট বন্ধুকে মিষ্টি খায়িয়ে তাদের বললেন কলেজ থেকে ফেরার পথে মেয়েটাকে একটু টিজ করতে হবে। দুই তিন দিন তারা এমন করার পর একদিন মোটরবাইক নিয়ে আপনি সেখানে হাজির হলেন। দুষ্ট বন্ধুদেরকে ভদ্র কিন্তু গম্ভীর স্বরে ঝাড়ি দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। এর পর দেখবেন মেয়েটিই আপনাকে আগ্রহী হয়ে তার ফোন নম্বর দিচ্ছে। এটাকে বলে রিঅ্যাকটিভ স্ট্র্যাটেজি। যেটা হল জোর করে ঘটনা আপনার পক্ষে নেওয়া নয়, এমন পরিকল্পনা করা যেন ঘটনার প্রতিক্রিয়া আপনার পক্ষে যায়।
রাজনীতির বহুমাত্রিকতা:
রাজনীতিতে সবসময় সব কিছু সরাসরি প্রতিক্রিয়াতে হয় না। “ডাইরেক্ট অ্যাকশন” একটি সশস্ত্র বিপ্লব বা সন্ত্রাসবাদের শ্লোগান। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ডাইরেক্ট কিছু হয় না। রাজনীতি একটি প্রাভাবিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মত। যেমন উদাহরণ হিসাবে বাতাসে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন ও হাইডোজেন অণু। ফসলের সার হিসাবে ব্যবহৃত যে অ্যামোনিয়া (NH3), সেটি নাইট্রোজেন ও হাইডোজেন অণু দ্বারাই গঠিত। কিন্তু আপনি যদি বাতাসে থাকা নাইট্রোজেন ও হাইডোজেন অণু দ্বারা অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করতে চান। নাইট্রোজেন আর হাইড্রোজেনকে একত্র করে একটি পাত্রে ভের ঝাঁকঝাঁকি করলেই অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হবে না। নাইট্রোজেনের অণু শক্তিশালী ত্রি-বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। এই বন্ধন আগে ভাংতে হবে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে জার্মান রসায়নবিদ ফ্রিটজ হেবার এই পদ্ধতি আবিষ্কারের আগে এটি কিভাবে করতে হয় কেউ জানত না।
হেবার-বস সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বিক্রিয়াটি শুরু করার জন্য, দুটি প্রধান অনুঘটক এবং উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রা প্রয়োজন। প্রথমে, আয়রন একটি প্রাথমিক অনুঘটক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন অনুদের আনবিক বন্ধন ভাঙ্গতে সহায়তা করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া শুধু আয়রন দিয়ে সম্পূর্ণ হয় না; পটাশিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইড এর মতো কিছু প্রোমোটার (অতিরিক্ত অনুঘটক) ব্যবহার করতে হয় আয়রনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য। বিক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ চাপ এবং মাঝারি উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করতে হয়। বিক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে তাপমাত্রা ৪০০ থেকে ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হয় এবং প্রায় ১৫০-২০০ অ্যাটমোস্ফিয়ারের মত উচ্চ চাপ প্রয়োজন হয়। সব কিছু মিলিয়ে অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি না করলে সেটি সফল হয় না। এখানে দেখা যাচ্ছে বিক্রিয়াটি ঘটাতে হলে বহু মাত্রার প্রভাব প্রয়োজন।
এই বিক্রিয়াটি অনেকটা রাজনীতির বহুমাত্রিকতার মত। রাজনৈতিক সমীকরণে শুধুই রাজনৈতিক দলগুলো বা তাদের সততা দিয়ে নির্ণিত হয় না। নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন অণুদের মত কোন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের বন্ধন অনেক দৃঢ় থাকে। সেগুলো ভাঙ্গতে দুর্নীতির অভিযোগকে অনুঘটক হিসাবে ব্যবহার করা যায়। অর্থনৈতিক চাপ তাপমাত্রা বৃদ্ধির মত বা মানবাধিকার প্রশ্ন চাপ বৃদ্ধির মত কাজ করে। যেগুলো বাইরে থেকে প্রয়োগ করা যায়। প্রতিবেশী দেশের প্রভাব বা পরাশক্তিগুলোর কৌশল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই বিক্রিয়ার মত অনুঘটক, চাপ বা তাপমাত্রা বৃদ্ধির মত কাজ করে।
অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ বোধ:
রাজনৈতিক পর্যালোচনায় অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গি, অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ চিন্তা এবং অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ রাজনীতিকে পৃথক করে বুঝতে হবে। এখানে অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ এই শব্দ দুটোকে বাংলায় রূপান্তর ইচ্ছা করেই করা হল না কারণ এতে বিষয়টা আরো জটিল হয়ে যাবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক আলোচনায় ৯৯% মানুষ অবজেক্টিভ চিন্তা করতে পারেন না। এটাই আমাদের সকল রাজনৈতিক ব্যর্থতা ও নেতৃত্বহীনতার কারণ।
দর্শনে কোন কিছু সাবজেক্টিভ হয় যদি এটি একটি মনের উপর নির্ভর করে যেমন পক্ষপাত, উপলব্ধি, আবেগ, মতামত, কল্পনা, বা সচেতন অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যক্তি শীতল আবহাওয়াকে আরামদায়ক বলে মনে করতে পারেন, এবং অন্য একজন ব্যক্তি একই আবহাওয়াকে বেশি ঠাণ্ডা বলে মনে করতে পারেন; উভয় দৃষ্টিভঙ্গি এখানে সাবজেক্টিভ। আবার দর্শনে কোনো কিছু অবজেক্টিভ যদি সেটা মন নির্ভর না হয়ে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়। যেমন আবহাওয়াটাকে যদি বলা হয় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রী, আদ্রতা ৭০%, বায়ুর গতি ১০ কিমি/ঘন্টা।
কিন্তু অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ বোধ সর্বক্ষেত্রে উপরের উদাহরণের মত এতটা সরল নয়। রাজনীতি মানুষের আবেগ ও মন নিয়েই গঠিত, তাহলে সেখান থেকে আমরা মনের প্রভাবকে বাদ দেব কিভাবে? একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা বোঝা যাক। ধরা যাক একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ দুর্নীতি করেছে। এতে তার বিরোধী পক্ষ তার দুর্নাম করছে। কিন্তু দেখা গেল ঐ দেশের সব রাজনীতিবিদই দুর্নীতি করে। এই পরিস্থিতিতে উক্ত নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদ দুর্নীতিগ্রস্থ এটা সাবজেক্টিভ চিন্তা।
রাজনীতিতে কোন নেতা, দল বা দেশ কি করছে, যেমন দেশের স্বাধীনতা আনা, দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা, দেশের প্রশাসনকে দক্ষ করা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা, বাকস্বাধীনতা বজায় রাখা ইত্যাদি হল সেই নেতা, দল বা দেশের অবজেক্টিভ চরিত্র।
অপর দিকে নেতাদের ক্যারিশমা, তাদের ব্যক্তিগত সততা, তাদের আন্তর্জাতিক প্রশংসা, তাদের ধর্মীয় পরিচয়, তাদের ভক্ত হওয়া বা তাদের ঘৃণা করা, এগুলো হল সেই নেতা, দল বা দেশের সাবজেক্টিভ চরিত্র।
রাজনীতি বুঝতে গেলে কোন নেতা, দল বা দেশের অবজেক্টিভ চরিত্র ও সাবজেক্টিভ চরিত্রকে আলাদা করে বুঝতে হবে। এই আলাদা করে বোঝাকেই বল রাজনীতি নিয়ে অবজেক্টিভ ও সাবজেক্টিভ চিন্তা। এটা যারা না করতে পারে তারা কখনই রাজনীতি বুঝতে পারবে না এবং তারা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করলে রাজনীতির ক্ষতি হবে এবং দেশ রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাবে। রাজনীতি হবে বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার মত। এর সাথে রাজনীতির সাবজেক্টিভ চরিত্র ও অবজেক্টিভ চরিত্রের তুলনা করা যায় না অনেকটা আপেলকে কমলার সাথে যেমন তুলনা করা যায় না। শেখ মুজিব দেশ স্বাধীন করেছেন। এটা একটা অবজেক্টিভ রাজনৈতিক অর্জন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির সাবজেক্টিভ অভিযোগ দিয়ে সেই অর্জন খাটো করা যায় না।
অনেক তত্ত্ব কথা হল। আবার ফিরে যাই চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং চীনকে ঘায়েল করার জন্য আমেরিকার কৌশল নিয়ে। মালাক্কা প্রণালী ঘিরে আমেরিকার যে কৌশল সেটা অবজেক্টিভ স্ট্র্যাটেজি বা সরাসরি সামরিক নিরাপত্তা কৌশল। আমেরিকার বিদেশ নীতি আর একটি সমর কৌশল চমৎকারভাবে রপ্ত করেছে সেটি হল সাবজেক্টিভ নিরাপত্তা কৌশল।
১৯৭১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর করেন। এই সফরের মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়। কিসিঞ্জার বুঝতে পেরেছিলেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েন চীনের কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করছিল। সোভিয়েত হুমকি মোকাবেলায় চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিসিঞ্জার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করেন।
কিসিঞ্জারের কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে চীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়ে চীনের রাজনৈতিক কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী হয়। একইসাথে, এই উদ্যোগ সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর চীনের নির্ভরতাও কমিয়ে দেয়, যা চীনের স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নতির মাধ্যমে চীন বুঝতে পারে যে, অর্থনৈতিক উন্মুক্তকরণ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক প্রভাব ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এর ফলে ১৯৭৮ সালে ডেং জিয়াওপিং-এর নেতৃত্বে চীনে অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা হয়, যা 'উন্মুক্ত দরজা নীতি' নামে পরিচিত। এই নীতির মাধ্যমে চীন বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের জন্য তার অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করে।
কিন্তু এটিই পুরো গল্প নয়। কিসিঞ্জার জানতেন যে চীন একসময় বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়ে যাবে। এবং যে চীনকে তিনি আমেরিকার দানব সোভিয়েতের রাহু থেকে বের করে এনেছেন, সেটি একদিন আরো বড় দানবে পরিণত হবে। সেই দানব বধ করার জন্য তিনি নতুন একটি ঔষধও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি বিভাগকে দিয়ে রাখেন। সেই ঔষধটি হচ্ছে “মানবাধিকার”। কিসিঞ্জার এটাও সাবধান করে দেন যে এই ঔষধ প্রয়োগ করার আগে পশ্চিমা দেশগুলো এবং আমেরিকার সকল বন্ধু রাষ্ট্রকে এটিকে অ্যান্টিভেনমের মত অল্প অল্প করে খেয়ে প্রতিরোধী হতে হবে। তার পর এই ঔষধ দিয়ে যে কোন ক্ষুদ্র বা বুহৎ একনায়ককে ঘায়েল করা যাবে। ইহুদি কিসিঞ্জারের সেই ঔষধই নিয়ে এসেছিলেন মিয়ানমারের অং সান সু চি এবং এনেছেন বাংলাদেশের ড: মো: ইউনুস। ফল হচ্ছে ২০১৫ এর মিয়ানমার ও ২০২৪ এর বাংলাদেশ।