গল্পটা এমন এক যুবককে নিয়ে যে গ্রীষ্মের সময়টা গ্রামাঞ্চলের প্রকৃতির মাঝে থাকা উপভোগ করে। সেখানে একটি পরিবারের সাথে তার অবসর সময় কাটায় যার বেশিরভাগই ঐ পরিবারের একটি অবিবাহিত কন্যার সাথে গল্পগুজব করে। সময়ের সাথে সাথে, যুবকটির আকর্ষণে মেয়েটিও অনেকটা অযৌক্তিকভাবে ভাবে যে যুবকটি নিশ্চয়ই তার প্রণয়াসক্ত। ছেলেটির বেশিরভাগ স্থানীয় বন্ধু এবং সেইসাথে মেয়েটির বাবাও মনে করতে থাকে যে যুবকটি বিয়ের প্রস্তাব দেবে। যাই হোক, তাদের সকলের বিশ্বাস একটি দূরবর্তী স্বপ্নে পরিণত হয়, কারণ যুবকটির আসলে সেরকম কোন ইচ্ছাই ছিল না।
আজকে এই ঢাকা শহরে সারাদিন বিভিন্ন রেস্তোরায়, পার্কে, রিজর্টে, ক্লাবে, বারে, বসার ঘরে, বন্ধুর বাসায় যত তরুণ তরুণী একত্রে বসে গল্প করবে তাদের বেশিরভাগেরই কিন্তু একজন আর একজনকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছা রাখেনা। বেশিরভাগই কিন্তু একজন আর একজনের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়াতে চায় না, অপরের নগ্ন দেহ দেখতে চায় না এমনকি একজন অপরজনের শরীরের খুব কাছাকাছিও যেতে চায় না। যত তরুণ তরুণী একত্রে বসে গল্প করবে তাদের শতকরা ১০ ভাগ হয়ত যৌন বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে আগ্রহী আর বিয়ে করতে আগ্রহী হয়ত শতকরা ৫ ভাগ।
এই শহরেই কিছুদিন আগে যে মেয়েটি বাসা থেকে উধাও হয়ে গেল সে সারাদিন ঘুরেছে একটি ছেলের সাথে (বন্ধু-১)। সেই ছেলেটির সন্ধান পাওয়া গেছে মেয়েটির ফোনে পাওয়া একটি চ্যাটের মাধ্যমে যার সাথে মেয়েটির পরিচয় মাত্র তিন মাস আগে। যে ছেলেটিকে সে বাসা থেকে চলে গিয়ে বিয়ে করেছে (বন্ধু-২) তার সাথে কিন্তু তার কোন চ্যাট পাওয়া যায় নি বা বাসা থেকে বের হয়ে গেলে সে তার সাথে সে ঘুরতেও যায়নি। চ্যাটের সূত্র ধরে মেয়েটির মা এই ছেলেটিকে (বন্ধু-১) তার প্রেমিক দাবী করে অপহরণের মামলা দেয় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ও রিম্যান্ডে নেয়।
এই ছেলেটি (বন্ধু-১) যেদিন মেয়েটির সাথে সারাদিন ঘোরে, সন্ধ্যা হয়ে গেলে মেয়েটিকে সে বলে বাসায় চলে যেতে। কিন্তু মেয়েটি যেতে চায় না। সন্ধ্যা হয়ে গেলে রাতে একটি মেয়েকে নিয়ে সে কোথায় যাবে সেটি নিয়ে সে চিন্তিত হয় এবং বিপদে পড়ে। এটিও প্রকাশিত হয়েছে যে মেয়েটি তাকে বিয়ের কথাও বলে কিন্তু ছেলেটি আকাশ থেকে পড়ে। পরে সে মেয়েটিকে নিয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় যায় ও সেই পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটায়। এর পর মেয়েটি বুঝতে পারে যে এই ছেলেটির কাছে আজ রাতে থাকা যাবে না। তখন সে যে ছেলেটিকে বিয়ে করেছে (বন্ধু-২) এর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
সন্ধ্যায় মেয়েটি প্রথম ছেলেটির (বন্ধু-১) সাথে থাকা অবস্থায় পুলিশ ছেলেটিকে মেসেজ করে মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যেতে। ছেলেটি পুলিশকে কথা দিলেও মেয়েটি রাজি হয় না। মেয়েটি তার কাছ থেকে রিক্সা ভাড়ার টাকা নিয়ে দ্বিতীয় ছেলেটির (বন্ধু-২) এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মেয়েটি বাসা থেকে বের হয়ে আসে নিজের ফোন ছাড়া (যেহেতু সে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল) এবং কোন টাকা পয়সা ছাড়া। বিয়ে করার জন্য কোন পরিকল্পনাও সে কারও সাথে করেনি।
প্রথম ছেলেটির (বন্ধু-১) ফোন থেকে সে দ্বিতীয় ছেলেটিকে (বন্ধু-২) তাকে নিতে আসতে বলে কিন্তু ছেলেটি আসে না। ছেলেটি বলে দেখা করতে চাইলে তাকে তার এলাকায় যেতে, ঠিক বন্ধুরা যে আচরণ করে তেমন, প্রেমিকের মত নয়। মেয়েটি সেখানে গেলে ছেলেটি তাকে বার বার বাসায় চলে যেতে বলে। কিন্তু মেয়েটি বলে সে বাসায় যাবে না। গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে বা সে আত্ম’হত্যা করবে। সে তার সাথেই থাকতে চায়। মেয়েটির পরিস্থিতি দেখে ছেলেটি তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যায় এবং পরের দিন তারা বিয়ে করে।
এই পুরো ঘটনায় আমরা দেখতে পাচ্ছি বাবা ছাড়া একটি পরিবার, অতি নিয়ন্ত্রক একটি মাতৃ চরিত্র যে একটি সিঙ্গেল প্যারেন্ট, যে নিজেই স্বীকার করেছে যে এই মেয়েটিই তার জীবনের সবকিছুর একমাত্র টার্গেট। এই রকম একটি পরিবেশে যখন একটি শিশু জন্ম থেকে বেড়ে উঠতে থাকে যেখানে মা হলেও ভিন্ন একটি ব্যক্তি রাহুর মত আরএকটি উদিয়মান ব্যক্তিকে সর্বদা গ্রাস করে রাখে তখন নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তির সকল স্বাভাবিক চিন্তা ও আচরণ বক্র ও বিক্রিত হয়ে যায়।
তখন সে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ডুবন্ত মানুষের মত খুঁজতে থাকে সহায়। তরুণীদের ক্ষেত্রে তরুণেরাই বেশিরভাগ তাদের কথা শোনে, সময় দেয়, তাদের সহযোগীতা করে, তাদের জন্য ত্যাগ করে, ঝুঁকি নেয়। এই ঘটনাতেও আমরা দেখছি পুলিশ যাদের তাই তুকারী করেছে, রিম্যান্ডে নিয়েছে সেই তরুণেরা মেয়েটিকে সহায়তার জন্য জেলে গিয়েছে, বিয়ে করেছে। সুযোগ পেয়েও তারা এই মেয়েটিকে ব্যবহারের চিন্তা করেনি বা তার অসম্মান করেনি।
অথচ এই ঘটনায় যত খরর, যত সোশাল মিডিয়া পোস্ট, সেগুলোতে গিয়ে দেখবেন, কমেন্টে বেশিরভাগই মায়ের গুণগান গেয়েছে, মেয়েটিকে মন্দ মেয়ে হিসাবে গালাগাল করেছে এবং তার বন্ধু ছেলেগুলোকে অপরাধী করেছে। এই ঘটনায় আমরা পুলিশ ও আদালত তথা রাষ্ট্রেরও একই চরিত্রে দেখলাম। এই ঘটনায় সবচেয়ে সুস্থ মানসিকতার যারা, যারা মেয়েটিকে সহায়তার জন্য নি-স্বার্থে সময়, অর্থ, সম্মান এমনকি নিজের জীবন ভাগ করে নেবার মত বড় হৃদয় দেখিয়েছে, রাষ্ট্র তাদের অপরাধী করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের যে নেতিবাচকতা সেটি রাষ্ট্রের অগ্রিম অপরাধীকরণ ও অগ্রিম রায় প্রদানের প্রতিফলন মাত্র। এর কারণ হচ্ছে রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিত্বের বিকৃতি।
লেখার প্রথমে শুরু করা গল্পটিতে ফেরত যাই। 'স্যুটর অ্যান্ড পাপা' নামের এটি হল আন্তন চেখভের লেখা এক রাশিয়ান যুবক পিয়তর পেট্রোভিচ মিলকিনের গল্প। যুবকটি কনড্রাশকিন পরিবারের মেয়ে নাস্তিয়ার সাথে এক সময় গল্প করে ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটিয়েছিল। এটি দেখে অনেকেই ভেবেছিল যে মিলকিন এবং নাস্তিয়ার মধ্যে নিশ্চিত বিয়ে হবে। মিলকিনের বন্ধুরা তাকে একটি স্ট্যাগ (ব্যাচেলর) পার্টি কবে হবে সেই প্রশ্ন করতে শুরু করে। বিয়ের আগে যে পার্টিতে শুধুমাত্র সিঙ্গেল পুরুষেরা উপস্থিত থাকে মজা ও হৈ হুল্লোড় করার জন্য। কারণ তারা মনে করেছিল যে মিলকিন নিশ্চই বিয়ে করছে।
কিন্তু মিলকিন বিয়ে নিয়ে তখন একেবারেই ভাবছিল না। এটা ঠিক সে নাস্তিয়ার সাথে বন্ধু হিসাবে সে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। প্রায় সন্ধ্যায় সে তার সাথে রাতের খাবার খেত, একসাথে হাঁটত এবং তাকে কখনও ফুলও উপহার দিয়েছিল। কিন্তু মিলকিনের মনে নাস্তিয়াকে বিয়ে করার কোন পরিকল্পনা কখনও ছিল না। মিলকিন যখন দেখল তার বন্ধু এবং নাস্তিয়ার পরিবার মেয়েটিকে বিয়ে করতে তাকে বাধ্য করতে পারে তখন মিলকিন ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মেয়েটির বাবা কনড্রাশকিনের সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়। মিলকিন নাস্তিয়ার বাবাকে বলে যে সে পরের দিন এই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। মেয়ের বাবা কনড্রাশকিন তখন হতবাক হন। তিনি বললেন, এটা অন্যায্য। তিনি মিলকিনকে নাস্তিয়াকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন।
সেই মুহুর্তে মিলকিন মেয়ের বাবার কাছে তার সেখান থেকে চলে যাবার পেছনে থাকা বেশ কয়েকটি কারণ উপস্থাপন করে। মিলকিন স্বীকার করে যে সে যদি বিয়ে করতে চায়, তবে সে নাস্তিয়ার চেয়ে ভাল মেয়ে সে খুঁজে পাবে না সুতরাং তার কন্যার যোগ্যতা এখানে প্রশ্ন নয়। তবে সে বলে, জীবন সম্পর্কে তার বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গি নাস্তিয়ার থেকে একদম আলাদা, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের সাথে মেলে না। কনড্রাশকিন এই যুক্তির পাল্টা এই যুক্তি দেন এই বলে যে দুনিয়ার সমস্ত পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে। তিনি কখনই এমন কোনও মহিলা দেখেন নাই যারা স্বামীর সাথে একই মতামত এবং বিশ্বাস ভাগ করে নেন।
তখন বাধ্য হয়ে মিলকিন বলে যে সে নাস্তিয়ার বর হিসাবে অযোগ্য, কারণ সে একজন দরিদ্র মানুষ। কনড্রাশকিন মিলকিনকে তখন মনে করিয়ে দেন যে তিনিও একজন স্বল্প বেতনভোগী মানুষ ছিলেন। মিলকিন ব্যর্থ হয়ে আরেকটি কারণ নিয়ে আসে, যে বলে সে মদ খায় এবং প্রায়ই মাতাল হয়। কনড্রাশকিন বললেন যে এটা তিনি বিশ্বাস করেন না যে মিলকিন মদ খায়। সেই মুহুর্তে মিলকিন বুঝতে পারল যে কনড্রাশকিন তাকে নাস্তিয়ার সাথে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর। তখন সে জানাল যে সে ঘুষ খায়। কনড্রাশকিন মিলকিনকে বললেন যে এই পৃথিবীতে সবাই ঘুষ নিয়েছে কখনও না কখনও।
মিলকিনের তখন মনে হল সে ব্যর্থ ও পরাজিত হতে যাচ্ছে। সে পরবর্তীতে একটু বেশি নাটকীয় হয়ে গেল এবং সে বলল যে তাকে তার করা ডাকাতির জন্য যে কোনও সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এতে কনড্রাশকিন কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে যায় এবং মনে করে যে মিলকিন ধরা পড়লে নিশ্চই তাকে সাইবেরিয়ার জেলে পাঠানো হবে। তিনি তখন বললেন যে হলেই বা, নাস্তিয়া তার সাথে জেলেই যেতেও দ্বিধা করবে না কারণ তার মেয়ের ভালবাসা একদম খাঁটি।
মিলকিন তখন বুঝতে পারল যে দুজন একই খেলা খেলছে - লোকটি তাকে যে কোনও মূল্যে তার মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য করতে চায়। মিলকিনের মস্তিষ্ক আবারও টনটন করে উঠল এবং সে বলল যে সে একজন পলাতক আসামি। কনড্রাশকিন মিলকিনকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। মিলকিন বলল যে সে অন্য অন্য একজনের পরিচয় নকল করে বসবাস করছে। কনড্রাশকিন এটা শুনে করে হঠাৎ উল্লসিত হয়ে উঠলেন। তিনি তখন মিলকিনকে অবশ্যই নাস্তিয়াকে বিয়ে করতে বললেন কারণ তিনি বললেন নকল মানুষ বিয়ে করলে পুলিশের পক্ষে তাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন হবে। মিলকিন শেষ চেষ্টা করে বলল যে সে একজন পাগল, তার মানসিক সমস্যা আছে। কনড্রাশকিন তখন বললেন যে একজন পাগল এত যুক্তিযুক্ত এবং সংবেদনশীলভাবে তর্ক করতে পারে না, যেমন মিলকিন করেছে।
মিলকিন তখন উঠে পড়ে এবং তার পাগলামি প্রমাণ করার জন্য একটি ডাক্তারের সার্টিফিকেট খুঁজে আনতে বের হয়। এর পর মিলকিন দেখা করে ঐ এলাকার ডাঃ ফিতুয়েভের সাথে যিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ডাক্তার মিলকিনের সাথে কথা বলে তার কোন মানসিক সমস্যা খুঁজে পেলেন না। তখন মিলকিন বিয়ে এড়াতে ডাক্তারকে তাকে পাগলের প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
ডাঃ ফিতুয়েভ তখন বলেন যে তিনি তাকে প্রত্যয়নপত্র দিতে পারেন না কারণ যে বিয়ে করতে চাইছে না সে নিশ্চই একজন চিন্তাশীল জ্ঞানী ব্যক্তি। ডাঃ ফিতুয়েভ বললেন যে প্রয়োজন হলে তিনি তাকে তিনি যে মানসিকভাবে সুস্থ, সেই সার্টিফিকেট দিতে পারেন। মিল্কিনের কোন যেন আর কোন পথ খুঁজে পেল না। সে অসহায় হয়ে বসে থাকল।
শুধু আন্তন চেখভের 'স্যুটর অ্যান্ড পাপা' গল্প নয়। আলবেয়ার কাম্যু লিখে গেছেন "ইতিহাসে সবসময়ই এমন একটা সময় উপস্থিত হয় যখন যে সাহস করে বলে ফেলে যে ২+২=৪ তখন তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। একথা বলার জন্য তাকে পুরষ্কৃত করা হবে না কি শাস্তি, সেকথা পরে, ২+২= কত সেটা নিয়ে তখন বিভ্রান্তিটিই যেন কাটে না।"
আমাদের সমাজ আজ সেই অবস্থায় পৌছে গেছে যখন সৎ, সত্য বলা, একটি বিপদে পড়া তরুণীকে সাহায্য করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে বিপদ কাঁধে নেয় যারা, এমন ভালমানুষদের সরকারের বেতনভূক কর্মকর্তারা তুই তুকারী করে কথা বলেছে। তাদের জেলে পুরছে, রিম্যান্ডে নিচ্ছে। তাদের আচরণেই বোঝা যায় না কি এমন একটা মেয়ে রাতে তাদের কাছে আশ্রয় চাইলে তারা কি করতেন?
বিভিন্ন মেধাবী লেখক ও সাহাত্যিকদের তুলে আনা সমাজের এই পরিবর্তন একটি পপুলেশন ইনভার্শন। মনোবৈজ্ঞানিকভাবে যখন ব্যক্তিত্বের বিকারে ভোগা মানুষেরা সমাজ ও রাষ্ট্রে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে সংখ্যাগুরু হয়ে যায়। জ্ঞান, আদর্শে চালিত চিন্তাশীল ব্যক্তিরা যখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়। তারা ও তাদের সুস্থ চিন্তা তখন দমন নীপিড়ণ ও আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হয়। এই সব ঘটনা তারই নিদর্শন। পচে গেছে আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগত। তাই তারা এগুলো ধরতেও পারে না।