EN
আরও পড়ুন
ধর্ম ও দর্শন
রাজনীতি
মনে শুধু ঘৃণা আর আত্ম ঘৃণার প্রতিফলনে:
মানসিক সমৃদ্ধি ও সম্পর্ক
রাজনীতি
পলিটিক্যাল সিস্টেমস থিংকিং এর শিক্ষা
JadeWits Technologies Limited
মানসিক সমৃদ্ধি ও সম্পর্ক

"হাত মে লুটা মু মে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” -৩

ট্রিউন ব্রেইন মডেল

যৌনতা মন্দ এই মূল্যবোধ বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে ব্যপক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। একদিকে যৌনতা যেমন প্রচন্ড আগ্রহের বিষয় অপর দিকে সামাজিক মূল্যবোধের মাপে যৌনতা মন্দ এবং পাপ। এই উভয়সঙ্কটে বয়ঃসন্ধিকালে শিশু কিশোরেরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। এই বিভ্রান্তী শিশু কিশোরদের মনে তীব্র মানসিক চাপ প্রয়োগ করে। এই চাপ সবাই একইভাবে মোকাবেলা করে না। জেনেটিক ও ব্যক্তিত্বের গঠন, পরিবেশ বিশেষ করে যৌন বিষয়ে সাংস্কৃতিক ও মূল্যবোধগত পার্থক্য এবং আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তাগত অবস্থান ঠিক করে দেয় মানুষ কিভাবে এই চাপ মোকাবেলা করবে। নানা গবেষণায় দেখা যায় যে সমাজের উচ্চবিত্ত এবং একেবারে নিম্ন আয়ের সমাজ যৌন বিষয়ে অধিক মুক্ত যদিও তাদের সকলেই এমন নয়।

মধ্য বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্কের আবেগ কেন্দ্রে প্রথম ভৌত পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পরিবর্তন প্রধাণত হয় মস্তিষ্কের আবেগ কেন্দ্রে যেমন বেসাল গ্যাংলিয়া, হিপোক্যাম্পাস এবং অ্যামিগডালা এলাকায়। মস্তিষ্কের এই তিনটি এলাকা অনেকটা নেভিগেটরের কাজ করে। কোন সেন্সরি ইম্পালস (যেমন কোন ছেলে কোন মেয়ের ক্লিভেজ দেখে ফেললে বা কোন মেয়ে কোন ছেলের দেহ স্পর্শ করে ফেললে) তার পর তার চিন্তা ও আচরণ কোন দিকে যাবে সেটা নির্ণয় করে মস্তিষ্কের বেসাল গ্যাংলিয়া, হিপোক্যাম্পাস এবং অ্যামিগডালা এলাকা। এর সাথে যুক্ত থাক স্মৃতি, অভিজ্ঞতা ও নিরাপত্তাজনিত আনন্দ ও ভীতি। মেয়ে ও ছেলে মস্তিষ্কের বেসাল গ্যাংলিয়া, হিপোক্যাম্পাস এবং অ্যামিগডালা এলাকায় পরিবর্তন একইভাবে হয় না। এই নব্য পরিবর্তনের ফলে বয়ঃসন্ধিকালে মেয়ে শিশুরা হয়ে ওঠে বেশি আবেগপ্রবণ, সিদ্ধান্তগ্রহণে বিভ্রান্ত এবং তাদের মেজাজের পরিবর্তন হয় অহরহ (মুড স্যুইং)। অপরদিকে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে শিশুরা হয়ে ওঠে কৌতূহলী ও ঝুঁকি গ্রহণকারী। আমেরিকার হাইওয়ে নিরাপত্তার জন্য বীমা ইনস্টিটিউট জানায় ২০২০ সালে আমেরিকায় ১৬-১৯ বছর বয়সী ছেলে চালকদের মোটর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার একই বয়সের মেয়ে চালকদের মৃত্যুর হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল।

বয়ঃসন্ধিকালের ৬টি অপরিণত চিন্তা কেন থাকে এবং সেই সব অপরিণত চিন্তা কিভাবে বাস্তবসম্মত, যুক্তিসঙ্গত ও ইতিবাচক ম্যাচ্যিউর বা পরিণত চিন্তায় রূপান্তরিত হয় সেটা বুঝতে গেলে আমাদের মস্তুিস্কের গঠন সম্পর্কে একটু বুঝতে হবে।

ট্রিউন ব্রেইন মডেল

বয়ঃসন্ধিকালের শিশুর মানসিক চাপ, আবেগ ও আচরণ বোঝার জন্য মার্কিন নিউরোসাইন্টিস্ট পল ম্যাকলিয়ানের ট্রিউন ব্রেইন মডেল খুব ভালো ধারণা দিতে পারে। এই মডেল অনুসারে মানব মস্তিষ্ক তার কার্যপ্রণালীর দিক দিয়ে তিনটি ভিন্ন অংশে বিভক্ত। অংশগুলো বিবর্তনের ধারায় আদিমতর প্রজাতিদের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক কর্মকান্ডের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এটি একটি ক্রিয়াপ্রণালীগত ধারণা, অংশগুলোর প্রকৃত অবস্থান ভৌতভাবে ভিন্ন হতে পারে। ট্রিউন ব্রেইন মডেল অনুসারে মস্তিষ্কের এই তিনটি ভিন্ন অংশ হল রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্স, লিম্বিক ব্রেইন বা প্যালিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স এবং সেরিব্রাল নিওকর্টেক্স বা নিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স।

রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্স

মস্তিষ্কের কেন্দ্রে স্নায়ুমুন্ডের কাছে রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্স অবস্থিত এবং এর কাজ প্রাচীন সরিসৃপ প্রাণীদের চরিত্র বা তাদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রয়োজনের সাথে সম্পর্কিত। রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্সের কাজ হলো স্বয়ংক্রিয় দৈহিক কাজকর্ম, স্বয়ং প্রতিবর্তি ও প্রবৃত্তিগত বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ। এগুলো হলো শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি; খাওয়া, হজম, ভয় পেলে জমে যাওয়া, পালানো বা, আক্রমণ, বংশ রক্ষা তথা যৌনকর্ম, মৃত্যু ভীতি, নিরাপত্তা ভীতি ইত্যাদি। এছাড়াও প্রাণীর শারীরিক স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, দৈহিক নিরাপত্তা ও বংশবৃদ্ধির তাড়না এই অংশের মূল কাজ। রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্সএর ফাংশনগুলো জেনেটাক্যালি হার্ডওয়্যারড অর্থাৎ এগুলো শিখতে হয় না, প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকেই এগুলো প্রোগ্রাম করা বা নির্ধারিত থাকে।

লিম্বিক ব্রেইন বা প্যালিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স

মস্তিষ্কের মধ্যবর্তী অংশে বিস্তৃত এই অংশটির উদ্ভব প্রাচীন স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভবের সাথে সাথে। এর কাজ হলো আবেগ-অনুভূতিনির্ভর উদ্যোগ ও স্মৃতি তৈরি হওয়া, যেগুলো বংশবৃদ্ধি ও বাচ্চা লালনপালনসংক্রান্ত আচরণের সাথে সম্পর্কিত। মা ও শিশুর মধ্যে যে অনুরাগ, আসক্তি ও আবেগের মিথস্ক্রিয়া এবং সেটি বয়স অনুযায়ী বিস্তৃত হয়ে আবেগের আন্তর্ব্যক্তিক ও সামাজিক সংযোগ তৈরিতেও এই অংশ কাজ করে। লিম্বিক ব্রেইন বা প্যালিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স অর্ধেক জন্মসূত্রে পাওয়া কিন্তু এটি কার্যকরী হতে গেলে আচরণগত শিক্ষার প্রয়োজন। মা বা প্রাথমিক সেবাকারীর সাথে এবং পরিবার ও সমাজের সাথে ইতিবাচক আবেগগত সম্পর্ক সঠিক আবেগগত বা সুষ্ঠু লিম্বিক ব্রেইন ফাংশন নিশ্চিত করতে পারে। মা বা প্রাথমিক সেবাকারীর সাথে ইতিবাচক আবেগগত সম্পর্ক অথবা শিশু বয়েসে পরিবার ও সমাজ থেকে পাওয়া নেতিবাচক আচরণ শিশুর মনে সামাজিক ভীতি বা ট্রমা তৈরি করতে পারে। যে ট্রমা বয়ঃসন্ধিকালে তাকে বিপরিত লিঙ্গের প্রতি ভীত, ক্ষুব্ধ বা প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলতে পারে যার ফলে তার মধ্যে তৈরি হতে পারে, মানবভীতি (হোমোফোবিয়া), সামাজিক উদ্বেগ (সোশাল ফোবিয়া), প্রেম ব অন্তরঙ্গতার ভয় (ফিলফোবিয়া), যৌনবাদ (সেক্সিজম), নারীবিদ্বেষ (মিসজিনি) বা পুরুষবিদ্বেষ (মিস্যান্ড্রি) ইত্যাদি।

সেরিব্রাল নিওকর্টেক্স বা নিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স

মস্তিষ্কের সম্মুখ ও উপরিস্থিত এই অংশ উচ্চতর স্তন্যপায়ী যেমন এপ ও মানব প্রজাতীর উদ্ভবের সাথে সাথে গঠিত হয়। এর কাজ ভাষার ব্যবহার, বিমূর্ত চিন্তা, পরিকল্পনা এবং বোধ ইত্যাদি যেগুলোর চরম উৎকর্ষতা শুধু

মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। মানুষ হিসাবে শিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা, সামাজিক ও আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক, জগৎ সম্পর্কে বাস্তবসন্মত ধারণা, পরিকল্পনা, আদর্শ, সামাজিকতা, দায়ীত্ববোধ, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন, দীর্ঘ স্মৃতি এমন সকল কিছুই এই নিওকর্টেক্সের দক্ষতা ও তার সাথে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের সংযোগের উপর নির্ভর করে।

আমাদের নিরাপত্তা ও আবেগগত পরিস্থিতির উপর ট্রিউন ব্রেইন মডেলে বর্ণিত মস্তিষ্কের এই তিনটি অংশের কোনটি কখন নিয়ন্ত্রণ নেবে ও কোনটি নিষ্ক্রিয় থাকবে সেটি নির্ভর করে। সকল পরিস্থিতিতে আমাদের মস্তিষ্কের এই তিনটি অংশ একভাবে কাজ করে না। সেফটি ফার্স্ট বা নিরাপত্তা সবার আগে। শ্রেণিকক্ষে কোনো শিশু যদি তার ডেস্কে একটি সাপ দেখে, তখন সে দৈহিক নিরাপত্তার সংকটে পড়ে। তখন তার চিন্তাশীল নিওকর্টেক্স কাজ বন্ধ করে দেয়। তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রেপটিলিয়ান ব্রেইন বা আর-কমপ্লেক্স। তখন কোন চিন্তা করার আগেই সে লাফ দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে,সাপটাকে মারতে উদ্যত হতে পারে অথবা ভয়ে নিথর হয়ে যেতে পারে। এই তিনটিই রেপটিলিয়ান ব্রেইন এর কাজ এবং তখন তার আন্তরিক বন্ধুদের সে ভুলে যেতে পারে বা ক্লাসের কোনো পড়া আর তার মাথায় না ও ঢুকতে পারে কারণ তার মস্তিষ্কের বাকি অংশ তখন নিষ্ক্রিয় থাকে।

কোন দরিদ্র কিশোর যখন তার কোন ধনী সহপাঠির প্রেমে পড়ে বা কোন কিশোরী যখন কোন নায়কের প্রেমে হাবুডুবু খায় তখন তাদের মস্তিষ্কের সকল চিন্তাশক্তি ঘোলা হয়ে যায়। লিম্বিক ব্রেইন বা প্যালিওম্যামেলিয়ান কমপ্লেক্স তখন তাদের মগজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তখনও সে চিন্তা করে কিন্তু সেই চিন্তা বাস্তবতা থেকে আকাশ কুসুম চাঁদ তারা দুরত্বের।

এখানে খেয়াল করতে হবে সেরিব্রাল নিওকর্টেক্সের কাজ (চিন্তা) প্রধাণত বৈদ্যুতিক সংকেত ভিত্তিক কিন্তু রেপটিলিয়ান ব্রেইন ও লিম্বিক ব্রেইনর প্রভাব প্রধাণত হরমোন নির্ভর রাসায়নিক। যার ফলে এগুলো যখন কার্যকরী হয় তখন সেরিব্রাল নিওকর্টেক্সেের কাজ সীমিত হয়ে যায়। নিজ দায়ীত্ব নিয়ে কোন ঝুঁকি নেওয়া, যেমন প্রেমে পড়া মেয়েটিকে জানানো বা মোটরসাইকেল চালানো শুরু করা ইত্যাদির ফল বেশিভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক হয় যেমন মেয়েটির প্রত্যাখ্যান বা মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়া বয়ঃসন্ধিকালের মনকে পীড়িত করে বা অসম্ভব দুঃখ দেয়। এই দুঃখবোধ ও কষ্টভোগ বাস্তবতা সম্পর্কে তার ধারণা বাস্তবসম্মত করে এবং নতুন করে সে তার কৌশল নির্ধারণ করে তার আশা পূর্ণ করতে। কল্পনা করা > ঝুঁকি নেওয়া > ব্যর্থ হওয়া > আঘাত পাওয়া > নতুন কৌশল গ্রহণ > নতুন করে কল্পনা করা এই চক্র ক্রমে ক্রমে তার ব্যক্তিত্ব তৈরী করে যার ফলে ক্রমেই সে সফলতা পায় ও আত্মবিশ্বাসী করে। এই চক্র তাকে ক্রমেই এলকাইন্ডের বয়সন্ধীকালীন ছয়টি চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করে। সরল আদর্শ চিন্তা থেকে বের হয়ে ক্রমেই সে আবিষ্কার করে জগৎ আদর্শ এবং বড়রা দুর্নীতিগ্রস্থ ও ব্যর্থ এই ধারণা ঠিক নয়। সে বুঝতে শেখে ভাল মন্দ মিলে জগতের দ্বৈততার (ডুয়ালিটি) ধর্ম।

টেলিভিশনে ছোট একটি শিশু যখন দেখে একটি হরিণকে একটি বাঘ তাড়িয়ে ধরে খেয়ে ফেলল। এটি দেখে তার মনে হতে পারে বাঘটি নৃশংস ও মন্দ। কারণ সে এত সুন্দর একটি হরিণ খেয়ে ফেলল। এটি একটি সরল আদর্শ চিন্তা। ঐ শিশুটি যদি তার চিন্তার পরিধি বাড়ায় তবে সে মনে করতে পারে, আচ্ছা বাঘ যদি আর কখনো কোন হরিণকে না খায় তাহলে কী হবে? হরিণের সংখ্যা নিশ্চয়ই বাড়তে থাকবে। তারা বনের সব গাছপালা খেয়ে ফেলবে। ফলে ঐ বনে আরো যত প্রাণী আছে তারা মারা পড়বে। সুতরাং বাঘ কিছু হরিণ খেয়ে আসলে বনটাকে বাঁচিয়ে রাখছে, যাতে আরো অনেক ছোট ছোট প্রাণী বেঁচে থাকে। আমাদের অন্ত্রে বাস করা কৃমি, আমাদের দেহে বাস করা জীবাণু এগুলোও এমনই উদাহরণ। এরা আছে বলেই আমাদের রোগপ্রতিরোধব্যবস্থা

উন্নত ও সক্রিয় থাকে। বাস্তব জগতে সকল ভালো-মন্দের মধ্যে এমন আন্তনির্ভরতা আছে। একে বলে দ্বৈততা।

কল্পনা করা > ঝুঁকি নেওয়া > ব্যর্থ হওয়া > আঘাত পাওয়া > নতুন কৌশল গ্রহণ > নতুন করে কল্পনা করা এই চক্র শুধু যে তাকে ক্রমেই এলকাইন্ডের বয়সন্ধীকালীন ছয়টি চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করে তাই নয় এটি তার মগজেরও পরিবর্তন করতে থাকে। নিজ দায়িত্বে নিজ সিদ্ধান্ত থেকে পাওয়া দুঃখবোধ ও কষ্টভোগ তার মগজের তিনটি অংশ, রেপটিলিয়ান ব্রেইন, লিম্বিক ব্রেইন এবং সেরিব্রাল নিওকর্টেক্সের ভেতরের অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ফেলে দিয়ে এই তিনটি অংশের মধ্যে আন্তঃসংযোগগুলো বৃদ্ধি করতে থাকে। মগজের তিনটি অংশের মধ্যে যথেষ্ট কার্যকরী সংযোগ থাকাই পরিণত বা ম্যাচ্যিউর মানসিকতা। যে সামান্যতেই, যেমন কান নারীর খোলামেলা পোশাক দেখে অস্তিত্বগত ভীতিতে পড়ে জি’হাদ বা কো’তল করার মত টার্মিনাল চিন্তায় নিমগ্ন হয় না। বরঞ্চ জগৎ সম্পর্কে বাস্তবসন্মত ধারণা, পরিকল্পনা, আদর্শ, সামাজিকতা, দায়ীত্ববোধ থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে যেটি তার মনের বাসনা পূর্ণ করবে অন্যকে বন্দি করে নয়, সাথে নিয়ে।

চলবে…..

JadeWits Technologies Limited
সর্বশেষপঠিতনির্বাচিত

আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করি। আমাদের কুকি নীতির শর্তাবলী জানার জন্য অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন। কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মত হলে, 'সম্মতি দিন' বাটনে ক্লিক করুন।